নিষিদ্ধ করার উদ্যোগও নেওয়া হতে পারে তখনঃঅর্থমন্ত্রী

    0
    231

    আমারসিলেট24ডটকম,২২ডিসেম্বরঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া সরকার কতদিন দায়িত্বে থাকবে, সে সম্পর্কে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি ও জামায়াত অবরোধের নামে যেভাবে দেশকে অচল করার চেষ্টা করছে, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হওয়ার পর এ বিষয়ে সরকার অনেক বেশি কঠোর হবে। জামায়াতকে একটি “সন্ত্রাসী গোষ্ঠী” আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগও নেওয়া হতে পারে তখন,জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই প্রবীণ সদস্য।
    অর্থমন্ত্রী আজ ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন এর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। ওই সময় মন্ত্রীর কাছে ক্রুডেন জানতে চান, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে, সেই সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে। অর্থমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, দেশের অর্ধেক ভোটার এবার ভোট দিতে পারছে না। এ অবস্থায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। আর এই সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। বৈঠকের পর হাইকমিশনারের সঙ্গে আলাপচারিতার এ প্রসঙ্গটি সাংবাদিকদের জানান তিনি।

    অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, “ভোটার ছাড়াই দেশে একটি নির্বাচন হয়ে গেলো। অর্ধেকেরও বেশি ভোটার নির্বাচনে ভোট দিতে পারছে না। বড় বড় দলগুলো এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই নির্বাচন বলতে এটা তেমন কিছু না। এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন থাকবে। তবে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এ ছাড়া বিকল্প কিছই করার নেই। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির পর যেকোন সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, সমঝোতা হলে সংসদ ভেঙে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এখন বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি করবে। তবে নির্দলীয় সরকার এদেশে আর কোনদিন আসবে না বলেন অর্থমন্ত্রী।

    বিএনপি “সমঝোতা চায় না, ক্ষমতা চায়” উল্লেখকরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী ঠিক করেই রেখেছেন, তিনি কোনো সমঝোতা মানবেন না। তাঁর দরকার ক্ষমতা। আন্দোলনে জিততে পারলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। তাই সমঝোতার পথে না হেঁটে তিনি আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চান। এটাই তাঁর লক্ষ্য। সেজন্য সংবিধান সংশোধন করার বিষয়ে গঠিত কমিটিতে প্রতিনিধি চাওয়ার পরও বিএনপি দেয়নি। ২০১১ সালের ২৯ জুলাই পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের পর তারা সংসদেও কোনো প্রস্তাবও দেয়নি। তবে এখন দলটির দাবি কমেছে। এখন তাঁদের একমাত্র দাবি, তাঁরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাবে না। এর অর্থ হলো- বিএনপি বুঝতে পেরেছে, নির্দলীয় সরকারের যে দাবি তাঁরা এতোদিন করে আসছিলো, তা যৌক্তিক নয় বলে দাবী করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ।