নির্বাচনকে তামাশা দাবি করলেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহে এগিয়ে  

    0
    220

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮মার্চঃ “সরকার এবং নির্বাচন কমিশন তামাশার নির্বাচন আয়োজন করছে” এমন দাবি করলেও মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই এগিয়ে আছেন। এখন পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির পাঁচ জন কেন্দ্রীয় নেতা ও বিএনপিপন্থি একজন পেশাজীবী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটিতে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়েছে। বিএনপি চট্টগ্রামে একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। সব মিলিয়ে তিন সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থীর বিপরীতে বিএনপির সাত জন প্রার্থী রয়েছে। এছাড়াও বিএনপিমনা ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতার সন্তানও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে গতকাল শুক্রবার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। একই পদে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন এবং ইমতিয়াজ আলম। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৩০ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন। এর মধ্যে হাজী মো. সেলিম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দেয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত প্রার্থী রয়েছেন এক জন। আর বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন ৫ জন প্রার্থী।

    ঢাকা উত্তর সিটিতে নির্বাচনের জন্য সাবেক সাংসদ সারা বেগম কবরী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হককে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছে। অন্যদিকে এ সিটিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল মিন্টু মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেয়নি বিএনপি। গতকাল পর্যন্ত এ সিটিতে মেয়র পদে ২৬ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। সব মিলিয়ে দুই সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারীর সংখ্যা ৫৬। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই।

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারী ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী হলেন সাঈদ খোকন। আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম ইতিমধ্যে এ সিটিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। বাকি ২৮ জনের মধ্যে ৫ জনই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এরা হলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর আহবায়ক মির্জা আব্বাস, আব্দুস সালাম, কারাবন্দী বিএনপি নেতা নাসিরুদ্দীন আহমেদ পিন্টু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপিপন্থি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কারাবন্দী মো. সেলিম ভুঁইয়া রয়েছেন। এছাড়াও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয় পার্টির হাজী সাইফুদ্দিন আহমদ মিলন, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি, বাসদ নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, জাসদ নেতা মো. শহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মো. আব্দুর রহমান, রেজাউল করিম চৌধুরী, জাহিদুর রহমান, মশিউর রহমান, এ এস এম আকরাম, আলহাজ্ব কাজী আবুল বাশার, আবু নাসের মোহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, বাবুল সর্দার চাখারী, অ্যাডভোকেট মো. আইয়ুব হোসেন, আবদুল খালেক, দিলীপ ভদ্র, শাহ আলম, শাহীন খান, মো. সফিউল্লাহ চৌধুরী, মো. রিয়াজউদ্দীন, মো. বাহরানে সুলতান বাহার, আখতারুজ্জামান আয়াতুল্লাহ ও ইমতিয়াজ আলম।

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারী ২৬ জনের মধ্যেও আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আনিসুল হক। এ সিটিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মাহি বি চৌধুরী, মো. আবু তাহের, ফকির শেখ মুসলেউদ্দীন আহমেদ, শেখ শহীদুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের কারাবন্দী নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক সংসদ সদস্য সারা বেগম কবরী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী, এখলাছ উদ্দিন মোল্লা, নাঈম হাসান, তাইফুল সিরাজ, বিএনএফ সমর্থিত মো. আতিকুর রহমান নাজিম, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের জাপা’র সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, কাজী মো. শহীদুল্লাহ, আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের ছেলে ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা ববি হাজ্জাজ, হেলেনা জাহাঙ্গীর, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, সামসুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যুব ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ক্বাফি, মো. আনিসুজ্জামান খোকন ও মো. জামান ভুঁইয়া মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। গতকাল এ সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ও অভিনেতা নাদের চৌধুরী।

    তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একক প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির। আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হলেন সদ্য বিদায়ী মেয়র মনজুর আলম।

    দুই সিটিতে ৫৬ মেয়র এবং ২ হাজার ১৪১ কাউন্সিলর প্রার্থী

    গতকাল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের বিপরীতে বিএনপি নেতা আবুল বাশার, জাসদ নেতা নাদের চৌধুরীসহ তিন জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। দক্ষিণেও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন তিন জন। গতকাল পর্যন্ত দুই সিটিতে মেয়র পদে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৬ জনে। শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন মির্জা আব্বাসের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।

    এদিকে গত ১৮ মার্চ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণের ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য মোট এক হাজার ৪১ জনের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল ১১৮ জনের পক্ষে সংগ্রহ করা হয়। আর নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মোট ১৯৯ জনের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল সংগ্রহ করা হয়েছে ২৮ জনের পক্ষে।

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য গতকাল পর্যন্ত ৭৫০ জনের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৯৫ জনের পক্ষে। আর নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে গতকাল পর্যন্ত মোট ১৫১ জনের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল ১৫ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। সব মিলিয়ে ঢাকার দুই সিটিতে সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে গতকাল পর্যন্ত মোট ২ হাজার ১৪১ জন প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

    ‘সরকার এবং নির্বাচন কমিশন তামাশার নির্বাচন আয়োজন করছে’ এমন দাবি করলেও মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই এগিয়ে আছেন। এখন পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির পাঁচ জন কেন্দ্রীয় নেতা ও বিএনপিপন্থি একজন পেশাজীবী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটিতে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়েছে। বিএনপি চট্টগ্রামে একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। সব মিলিয়ে তিন সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থীর বিপরীতে বিএনপির সাত জন প্রার্থী রয়েছে। এছাড়াও বিএনপিমনা ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতার সন্তানও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে গতকাল শুক্রবার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। একই পদে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন এবং ইমতিয়াজ আলম। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৩০ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন। এর মধ্যে হাজী মো. সেলিম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দেয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত প্রার্থী রয়েছেন এক জন। আর বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন ৫ জন প্রার্থী।

    ঢাকা উত্তর সিটিতে নির্বাচনের জন্য সাবেক সাংসদ সারা বেগম কবরী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হককে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছে। অন্যদিকে এ সিটিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল আওয়াল মিন্টু মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেয়নি বিএনপি। গতকাল পর্যন্ত এ সিটিতে মেয়র পদে ২৬ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। সব মিলিয়ে দুই সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারীর সংখ্যা ৫৬। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই।

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারী ৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী হলেন সাঈদ খোকন। আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম ইতিমধ্যে এ সিটিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। বাকি ২৮ জনের মধ্যে ৫ জনই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এরা হলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর আহবায়ক মির্জা আব্বাস, আব্দুস সালাম, কারাবন্দী বিএনপি নেতা নাসিরুদ্দীন আহমেদ পিন্টু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপিপন্থি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কারাবন্দী মো. সেলিম ভুঁইয়া রয়েছেন। এছাড়াও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয় পার্টির হাজী সাইফুদ্দিন আহমদ মিলন, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি, বাসদ নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, জাসদ নেতা মো. শহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মো. আব্দুর রহমান, রেজাউল করিম চৌধুরী, জাহিদুর রহমান, মশিউর রহমান, এ এস এম আকরাম, আলহাজ্ব কাজী আবুল বাশার, আবু নাসের মোহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, বাবুল সর্দার চাখারী, অ্যাডভোকেট মো. আইয়ুব হোসেন, আবদুল খালেক, দিলীপ ভদ্র, শাহ আলম, শাহীন খান, মো. সফিউল্লাহ চৌধুরী, মো. রিয়াজউদ্দীন, মো. বাহরানে সুলতান বাহার, আখতারুজ্জামান আয়াতুল্লাহ ও ইমতিয়াজ আলম।

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারী ২৬ জনের মধ্যেও আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আনিসুল হক। এ সিটিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মাহি বি চৌধুরী, মো. আবু তাহের, ফকির শেখ মুসলেউদ্দীন আহমেদ, শেখ শহীদুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের কারাবন্দী নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক সংসদ সদস্য সারা বেগম কবরী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী, এখলাছ উদ্দিন মোল্লা, নাঈম হাসান, তাইফুল সিরাজ, বিএনএফ সমর্থিত মো. আতিকুর রহমান নাজিম, এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের জাপা’র সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, কাজী মো. শহীদুল্লাহ, আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের ছেলে ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা ববি হাজ্জাজ, হেলেনা জাহাঙ্গীর, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, সামসুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যুব ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ক্বাফি, মো. আনিসুজ্জামান খোকন ও মো. জামান ভুঁইয়া মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। গতকাল এ সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ও অভিনেতা নাদের চৌধুরী।

    তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একক প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির। আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হলেন সদ্য বিদায়ী মেয়র মনজুর আলম।

    দুই সিটিতে ৫৬ মেয়র এবং ২ হাজার ১৪১ কাউন্সিলর প্রার্থী

    গতকাল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের বিপরীতে বিএনপি নেতা আবুল বাশার, জাসদ নেতা নাদের চৌধুরীসহ তিন জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। দক্ষিণেও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন তিন জন। গতকাল পর্যন্ত দুই সিটিতে মেয়র পদে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৬ জনে। শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন মির্জা আব্বাসের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।

    এদিকে গত ১৮ মার্চ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণের ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য মোট এক হাজার ৪১ জনের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল ১১৮ জনের পক্ষে সংগ্রহ করা হয়। আর নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মোট ১৯৯ জনের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল সংগ্রহ করা হয়েছে ২৮ জনের পক্ষে।

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য গতকাল পর্যন্ত ৭৫০ জনের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল সংগ্রহ করা হয়েছে ৯৫ জনের পক্ষে। আর নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে গতকাল পর্যন্ত মোট ১৫১ জনের পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল ১৫ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। সব মিলিয়ে ঢাকার দুই সিটিতে সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে গতকাল পর্যন্ত মোট ২ হাজার ১৪১ জন প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।ইত্তেফাক