মানবতাবিরোধী অপরাধঃনিজামীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ

    0
    437

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২ডিসেম্বরঃ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের পক্ষে তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।

    প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বুধবার সকালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তা শেষ হয়।

    বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

    নিজামীর পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

    এর আগে, ২৫ নভেম্বর নিজামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ৩০ নভেম্বর এবং ১ ও ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন একই আপিল বেঞ্চ। একই সঙ্গে ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং ৮ ডিসেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়।

    যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এস,এম শাহজাহান বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খান স্বীকার করেছেন, ১৯৭১ সালে মতিউর রহমান নিজামী আল বদর কমাণ্ডার ছিলেন কি-না, এ ব্যপারে কোন দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। সে সময় নিজামী কখনও পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা রাজাকার কমাণ্ডারদের সাথে সাক্ষাত করেছেন কি-না, এ মর্মেও কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।

    তিনি বলেন, পাবনার সাঁথিয়া এলাকায় একটি মামলায় নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৭১ সালে মাওলানা নিজামীর পাবনায় উপস্থিতির বিষয়ে কোন দালিলিক প্রমাণ বা এ মর্মে কোন পত্রপত্রিকার সংবাদ নেই বলেও স্বীকার করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    এস.এম শাহজাহান আদালতে আরও বলেন, ১৯৮২ সালের রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে কখনও কোনো মামলা হয়নি।

    মতিউর রহমান নিজামীকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে এ সময় তার খালাস দাবি করেন তার আইনজীবী এস,এম শাহজাহান।

    এরও আগে ১৭, ১৮ ও ২৩ নভেম্বর নিজামীর আপিল শুনানিতে পেপারবুকের কিছু অংশ পাঠ করেন নিজামীর আইনজীবী। চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর নিজামীর আপিলের শুনানি শুরু হয়।

    মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে আনা হত্যা, বুদ্ধিজীবীদের গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, দেশত্যাগে বাধ্য করা, আটক, নির্যাতনসহ ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। এ সব অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের পর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন নিজামী। মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে এ আপিল করা হয়। ছয় হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চান তিনি।সুত্রঃইরনা