নারায়ণগঞ্জের সবাইকে একইভাবে হত্যাঃপ্রতিবেদন

    1
    219

    আমারসিলেট24ডটকম,০৭মেঃ নারায়ণগঞ্জে ২৭ এপ্রিল অপহৃত সবাইকে একইভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তপ্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিলসার্জন দুলাল চন্দ্র চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। নিহতসাতজনের মধ্যে পাঁচজনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তিনি এ তথ্যজানিয়েছেন। যাদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, তারা হলেন, প্যানেল মেয়রনজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার, মনিরুজ্জামান স্বপন, নজরুল ইসলামেরসহযোগী তাজুল ইসলাম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক ইব্রাহিম।
    ময়নাতদন্তেরপ্রতিবেদনে জানা গেছে, নিহত সবাকেই একইভাবে হত্যা করা হয়েছে। সবাইকেই মাথায়আঘাত করে গলায় রশি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। তাদের বুকেও আঘাতেরচিহ্ন ছিল। হত্যার পর লাশ যাতে ভেসে না ওঠে, সে জন্য তাদের সবার পেটেনাভির পাশে ছিদ্র করে দেওয়া হয়েছিল।
    ২৭ এপ্রিল রবিবার নারায়ণগঞ্জ সিটিকরপোরেশনের (নাসিক) প্যানেল মেয়র ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ওআইনজীবী চন্দন সরকারসহ পৃথকভাবে সাতজনকে প্রকাশ্য দিন-দুপুরে অপহরণ করেদুবৃর্ত্তরা। ওই দিন সন্ধ্যায় অপহৃত নজরুল ইসলামের গাড়ি গাজীপুর থেকেউদ্ধার করা হয়। এরপর রাজধানীর গুলশানের নিকেতন থেকে অ্যাডভোকেট চন্দনসরকারের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ।
    এরপরে বুধবার দুপুরের পর থেকেশীতলক্ষ্যা নদী থেকে অপহৃত ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবারসকালে বাকি একজনের লাশ একইভাবে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়েমোট সাতজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মহাসড়কঅবরোধসহ রবিবার নারায়ণগঞ্জে হরতাল পালন করে জেলা আইনজীবী সমিতি।
    এ ঘটনায়স্থানীয় র‌্যাব-১১-কে দায়ী করেন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর।তিনি অভিযোগ করেন, ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরঅভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। মঙ্গলবার অভিযুক্ত তিনর‌্যাব সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়।