নবীগঞ্জ নদীতে কালভার্ট! পানি-নৌকা চলাচলে বাঁধার আশঙ্কা

    0
    998

    “স্থানীয়দের ধারনা পানির স্রোত আটকিয়ে উজানে ভরাট করে নদী দখলের পাঁয়তারায় এই কালভার্ট তৈরি হচ্ছে।প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী তাদের এবং এই শাখা নদীটি খনন করে  রক্ষা না করলে পরিবেশের মারাক্তক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। “

    নূরুজ্জামান ফারুকী,নবীগঞ্জঃ  নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের নাদামপুর নামকস্থানে শাখাবরাক নদীতে পানি চলাচলের পথ (সরু) বন্ধ করে ব্যাক্তি স্বার্থের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ছোট আকারের একটি কালভার্ট। সামনের বর্ষা মৌসুমে ব্যাহত হবে উজানের পানি ও নৌকা চলাচলে । ভবিষ্যৎ পানি ব্যাস্থাপনার কথা চিন্তা না করে শুধু শুকনা মৌসুমের জন্য এমন পরিকল্পনা দেখে এলাকার লোকজনের মধ্যে পক্ষে বিপক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নদীর মাঝখানে কালভার্ট নির্মাণের ফলে শাখাবরাক নদীর অস্তিত্ব হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন সচেতন মহল। সরকার দেশের নদ নদীর জায়গার দখলদাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে খননের উদ্যোগ নিলেও শাখাবরাক নদীতে কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে নদীটি। তবে কে বা কারা নদী ভরাট করে কালভার্ট নির্মাণ করছেন তা সরজমিনে গিয়ে তাদের পরিচয় পাওয় যায়নি। পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে শাখাবরাক নদীতে কালভার্ট নির্মাণের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের বাঁধা প্রদান করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

    নাদামপুর গ্রামের সুন্দর আলী নামে এক বৃদ্ধ বলেন, রাজনৈতিক একটি অপশক্তি ব্যাক্তিরা নদী উপর ব্রীজ নির্মান না করে কালভার্ট নির্মাণ করছেন। এই কালভার্ট নির্মাণ হলে বর্ষামৌসুমে আমরা জমি থেকে বোরো ধান বাড়ীতে নিয়ে আসা সম্ভব হবে না। কারন এই কালভার্টের ভেতর দিয়ে ছোট ডিঙি নৌকা যাবে না। সেলিম নামে আরেক ব্যাক্তি বলেন, নদী ভরাট করে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে এখানে কালভার্ট নির্মাণ করার মানে হয়না। আমাদের দেশ নদী মাতৃক দেশ,এভাবে আমাদের নদী বিলীন হতে দেওয়া যায় না। এই নদী দিয়ে এক সময় চলতো স্টীমার,জাহাজসহ বিশাল আকারের নৌকা। নদীর পাড়ের অধিকাংশ জায়গা চলে গেছে ভূমিখেকুদের দখলে। কালভার্ট নির্মাণ তার একটি অংশ বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

    স্থানীয় চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আবু সিদ্দিক বলেন কে বা কারা শাখাবরাক নদীতে কালভার্ট  নির্মান করছেন তিনি জানেন না এটা তার পরিষদের কাজ নয় তবে তিনি অপরিকল্পিত কালর্ভাট নির্মানে কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান। তিনি আরো বলেন শাখাবরাক নদীটি কুশিয়ার,মনু, বিজনা,খোয়াই নদীর সংযোগ স্থল শাখবারক নদীটির উপর এই কালভার্ট নির্মান হলে নদীর দু পাড়ের বর্ষার পানি জমাট হয়ে বিরাট ক্ষতির আশংকা মনে করছেন তিনি। তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে নদী খালের জায়গা উদ্ধার জলাশয় তৈরি করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন সেখানে এক শ্রেণীর লোক এই কালর্ভাট নিমার্ণ করা তার বিপরিত মুখি কাজ। আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানাচ্ছি।

    “স্থানীয়দের ধারনা পানির স্রোত আটকিয়ে উজানে ভরাট করে নদী দখলের পাঁয়তারায় এই কালভার্ট তৈরি হচ্ছে।প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী তাদের এবং এই শাখা নদীটি খনন করে  রক্ষা না করলে পরিবেশের মারাক্তক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।”