নবীগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শামুক

    0
    272

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০মে,মতিউর রহমান মুন্ন: শামুক নামের বস্তু বা প্রাণীর সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। ছোট-বড় সবাই শামুক সম্পর্কে কম-বেশি জানি। অর্থকরী প্রাণী শামুক আজ বিলুপ্তপ্রায়। নবীগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শামুকের অস্তিত। বিভিন্ন জলাভূমি ও কৃষিজমি থেকে নির্বিচারে চলছে শামুক নিধন ও বিক্রি। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে স্থানীয় কৃষি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর।

    শামুকের খোলসের ভেতরের নরম অংশ মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। শামুকের বিলুপ্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পরছে মাছ উৎপাদনে। ভেঙে যাচ্ছে খাদ্য শৃঙ্খল। বিশেষ করে দেশীয় মাছ কৈ, শিং, টাকি, টেংরা, শৈল মাছের ডিম থেকে সদ্যজাত পোনার একমাত্র খাদ্য হচ্ছে শামুকের নরম ডিম। আর এ খাবার না পেলে ঐ পোনা মাছ মারা যায়। এভাবে শামুক নিধন হতে থাকলে দেশী প্রজাতির মাছ আরো বেশি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

    অপর দিকে শামুক নিসৃত পানির রয়েছে নানান ঔষধি গুন। প্রচলিত রয়েছে ঠান্ডা পাত্রে রক্ষিত শামুক নিসৃত পানি যে কোন ধরণের চোখের রোগের জন্য খুবই উপকারী। শামুক ঝিনুক দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে চুন এমনকি হাসের খাবার হিসেবে ও যোগান দেওয়া হয় প্রাকৃতিক ফিল্টার খ্যাত শামুক। শামুক পচে জমির মাটিতে প্রাকৃতিক ভাবে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ সরবরাহ করে।

    ফলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধিসহ ধানগাছের শিকর মজবুত ও ফলন অধিক হতে সাহায্য করে। শামুক দূষিত পানি ফিল্টারিং করে প্রাকৃতিকভাবে পানি দূষণ মুক্ত রাখে। নির্বিচারে শামুক নিধনের ফলে কৃষিজমি হারাচ্ছে উর্বরতা ও পরিবেশ হারাচ্ছে স্বাভাবিক ভারসাম্যতা। ফলে নবীগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার পরিবেশে দেখা দিচ্ছে বিপর্যয়ের আশংকা।