নবীগঞ্জ থেকেঃবাবারে আমরার কথা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কইও

    0
    238

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০আগস্ট,সানিউর সাজ্জাদ তালুকদার,নবীগঞ্জ থেকেঃহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পুর্ব সীমান্তে অবস্থিত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ আলোচিত কুশিয়ারা ডাইকের বাহিরের ৫টি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার জনগন জলাবদ্ধতার কারনে বছরের মধ্যে প্রায়  ৫ মাসই পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এমনকি অত্যান্ত বিপন্ন হয়ে পড়তে হচ্ছে ঐ ৫টি গ্রামের ৭/৮ হাজার জনগনের জীবন। ভরা বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের স্রোতের পানি কুশিয়ারা নদী দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের বাড়ি-ঘর ও ফসলী জমি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি তারই সাথে ওই ডাইকের বাহিরের অংশের তীরবর্তী ৫টি গ্রামের প্রায় ৭/৮ হাজার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন তাদের পরিবার-পরিজ্বন নিয়ে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

    ৫টি গ্রামের লোকজনদের প্রায় ৪শত পরিবারের মধ্যে তৎকালীন সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আলহাজ্ব দেওয়ান ফরিদ গাজীর বড় পুত্র শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী তার ব্যক্তি উদ্যোগে একটি সংস্থার পক্ষে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি আগষ্ট মাস পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস অতিবাহিত হলে ওই ৫টি গ্রামের পানিবন্দী মানুষের মাঝে কোন সরকারী ত্রান সামগ্রী আসেনি। গতকাল দুপুরে আলোচিত কুশিয়ারা ডাইক এলাকার নদীর তীরবর্তী উত্তর পাড়ের বাসিন্দা গালিমপুর, মাধবপুর, ও নদীর দক্ষিন পাড়ের বাসিন্দা রাধাপুর, দীঘলবাক ভুমিহীনপাড়া ও নতুন কসবা গ্রামসহ তার পার্শ্ববর্তী আরো কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বর্ষাকাল শুরু হলেই এসব গ্রামের লোকজন পানিবন্ধী অবস্থায় থাকতে হয় বছরের বারো মাসের মধ্যে প্রায় ৫মাস।

    আরো জানা গেছে চলতি বছরের কয়েক দফায় বন্যায় ওই এলাকার দীর্ঘদিন যাবত স্কুল মাদরাসা, মক্তব, বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিষ্টান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্টানে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীরা জলাবদ্ধতার দরুন প্রতিষ্টানে যেতে পারেননি কয়েকমাস যাবত। একটি শিখন প্রাথমিক স্কুলের ঘরদাতা জানান, এ বছরের কয়েক দফায় বন্যার ফলে এবং দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকার কারণে বিভিন্ন দিক দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে যাহা অপুরনীয়। রাধাপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বি আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ বলেন, কুশিয়ারা ডাইকের বিশেষ করে হুসেনপুরের নিকটের ঢালা ও আউশকান্দি ইউনিয়নের অবস্থিত আলোচিত পাহাড় পুরের নিকট সুইচ গেইট নির্মান করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করলে ওই ৫টি গ্রামসহ এলাকার আরো ঢালু অ লের বাড়ি-ঘরের লোকজনদেন জলাবদ্ধতার গ্রাস থেকে চিরদিনের জন্য বাঁচানো সম্ভব হবে।

    দীঘলবাক ভুমিহীনপাড়া এলাকার জলাবদ্ধতার গ্রাসে বিপন্ন বৃদ্ধা রায়বাহার বিবি জানান, বাবারে আমি ও আমার পরিবার আজ তাইক্যা ৪/৫ মাস হইল পানিবন্দী থাকছি। আমরার দেশের  প্রধানমন্ত্রীরে কইও আমরারে দেখতা। তাদের এমন মানবেতর জীবন বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ার বলেন, তাদের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

    হবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর পিএস ইমন জানান, এমপি মহোদয় দেশের বাহিরে, আমার জানামতে তিনি গত ২০/২৫ দিন পুর্বে দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়া সাহেবের বাড়িতে একটি উঠান বৈঠকে করেন, এবং ওই বৈঠকে এলাকার লোকজন কুশিয়ারা ডাইকের বিষয়ে স্যারকে জানান। তিনি এনিয়ে উর্ধ্বতনের কাছে যোগাযোগ করেছেন। অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।