নূরুজ্জামান ফারুকী,নবীগঞ্জ থেকেঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ- সঈদপুর সড়কের ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন বিবিয়ানা নদীতে ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা (প্রায়) ব্যয়ে নির্মান কাজ চলছে। ব্রীজ নির্মানে কাজ পেয়েছেন আবুল কাশেমের মিজানুর রহমান শামীম ট্রেডার্স নামে এক টিকাদার কোম্
স্থানীয়দের অভিযোগ নিম্ন মানের সামগ্রীসহ শুরু থেকেই ঠিকাদার আবুল কাশেম নানা অনিয়ম করে আসছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বর্তমানে ব্রীজে ফাইলিংয়ের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
জানা যায়, প্রতিটি পিলারের ফাইলিং ৩২ মিটার ( ১০৫ ফুট) থাকার কথা থাকলেও শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ঠিকাদার আবুল কাশেম শুধু মাত্র সাড়ে ১০ মিটারের একটি পিলারের জন্য রডের সাথে রিং বেঁধে লোহার খাঁচা ফাইলিংয়ের গর্তে ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেন। এসময় এলাকার শতাধিক জনতা অনিয়মের বিষয়টি বুঝতে পেরে কাজে বাঁধা প্রদান করেন। তারা প্রতিবাদ করেন এবং অভিযোগ করে বলেন,যেখানে প্রতিটি পিলারের ফাইলিং ৩২ মিটার ( ১০৫ ফুট) থাকার কথা,সেখানে কেন সাড়ে ১০ মিটার ঢালাই করে লোহার খাঁচার পিলার সম্পন্ন করতে চায় ওই ঠিকাদার।
এসময় ঠিকাদারের অনিয়ম নিয়ে জনগন বিক্ষোভ করলে ব্রীজের দায়িত্বে থাকা
উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিমুল বড়ুয়া তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল এসে বিক্ষোব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের ব্রীজ নির্মানের দায়িত্বরত সুপার ভাইজার লিটন দাশ বলেন, এখানে ৩২ মিটার (১০৫) ফুট ফাইলিং করা হয়েছে। বিক্ষোব্ধ জনগন তাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন ৩২ মিটার (১০৫) ফুট ফাইলিং করা হয়নি। জনতার চাপের মুখে লোহার খাঁচা উত্তোলন করা হলে ৩২ মিটার না পেয়ে সাড়ে ১০ মিটারের ৩টির পরিবর্তে একটি রিং বাঁধা লোহার খাঁচা পাওয়া গেলে জনগন উত্তেজিত হয়ে ফাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন।
খবর পেয়ে রোববার (১৮ এপ্রিল) নবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ,ব্রীজের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিমুল বড়ুয়া,সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান, কার্যসহকারী সিরাজ মোল্লা সরেজমিনে ব্রীজ নির্মান কাজ পরিদর্শন করতে আসেন।
এ সময় তিনি এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো সঠিক মাপে ফাইলিংকৃত পিলার স্থাপন,নিম্ন মানের পাথর, বালি না লাগানো,ব্রীজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ডাইভেশনটি জনগনের চলাচলের নিশ্চিত করা,ব্রীজ নির্মান কাজের ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শনকৃত সাইন বোর্ড টানানো।
এ সময় প্রকৌশলী নির্মান কাজে আর কোন অনিয়ম হবেনা বলে জনগনকে আশ্বস্থ করলে ব্রীজ নির্মানের কাজ পূনরায় শুরু হয়। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ব্রীজ নির্মানে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলাম ও বর্তমান ইউপি সদস্য সাফু আলম বলেন,কাজে অনিয়ম দেখে এলাকাবাসীসহ আমরা কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আমাদের মতবিনিময় সভা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্থ করেছেন ব্রীজের কাজে আর অনিয়ম হবেনা।
ব্রীজের ফাইলিংয়ের ৩২মিটার (১০৫) ফুট ফাইলিং এর পরিবর্তে সাড়ে ১০ মিটার পিলার স্থাপন করার কোন সুযোগ নেই। ব্রীজে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার না করতে ঠিকাদারকে বলে দিয়েছি বলে জানান উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাব্বির আহমদ।