নবীগঞ্জে শিক্ষক-ছাত্রী প্রেমঃবিয়ের দাবীতে ছাত্রীর অনশন

    0
    221

     অতঃপর বিয়ে

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭অক্টোবর, মতিউর রহমান মুন্না: নবীগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে ছাত্রীর প্রেম, বিয়ের দাবীতে শিক্ষকের বাড়িতে ছাত্রীর অনশন অতঃপর বিয়ের ঘটনায় চা ল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই গ্রামের জি.কে.আই দাখিল মাদ্রাসায়। এ ঘটনায় রবিবার সকালে ৩ গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ সভা করেছেন। উক্ত সভা থেকে শিক্ষককে ৩ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় মাদ্রাসা থেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যতায় বরখাস্থ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

    সূত্রে জানাযায়, পাঞ্জারাই গ্রামের রফিক মিয়ার বাড়ি থেকে ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়া করে আসছিল তার বাগ্নি গুতগাঁও গ্রামের সেবলু মিয়ার কন্যা সুমি বেগম। পাঞ্জারাই গ্রামের জি.কে.আই দাখিল মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করে। সেই সুবাদে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ইমামবাঐ গ্রামের সাইদুল হকের সাথে পরিচয় অতঃপর ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুমি বেগমের। ২০১২ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উঠে লেখাপড়া বাদ দিয়ে দেয় সুমি।

    কিন্তু সুমি মাদ্রাসায় না আসলেও শিক্ষকের নজড় রয়ে যায় সুমির দিকে। বছরে পর বছর বহাল থাকে তাদের প্রেমের সর্ম্পক। বাড়তে থাকে শিক্ষক ও ছাত্রীর প্রেমের বয়স। এর মধ্যে উক্ত শিক্ষক প্রেমিকা সুমিকে বাদ দিয়ে অন্যত্র বিয়ে প্রস্তুতির খবর পেয়ে গত মাসের ৫ তারিখ সুমি বেগম বিয়ের দাবীতে অনশন করে শিক্ষক সাইদুল হকের নিজ বাড়িতে। তার আত্মীয় স্বজন গিয়েও তাকে ফিরিয়ে আনতে চান কিন্তু সে আসতে না চাইলে এক পর্যায়ে গ্রামের মুরুব্বিদের সাথে কথা বলে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়।

    শেষে এর পরের দিন ৬ সেপ্টেম্বর রবিবার তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্ঠি হয়। বিভিন্ন মহলে চলে নানা রসালো আলোচনা। শিক্ষক ও ছাত্রীর এ ঘটনায় ফুসে উটেছে এলাকাবাসী। গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় উক্ত মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ৩ গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মফিজ উদ্দিন। প্রতিবাদ সভায় সকলের মতের প্রেক্ষিতে শিক্ষক সাইদুল হককে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ৩দিনের মধ্যে মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
    উক্ত প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গুমগুমিয়া গ্রামের মেম্বার দিলাওর মিয়া, পাঞ্জারাই গ্রামের মেম্বার মনর মিয়া, সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলাম, সজ্জাত মিয়া, ফুরুক তালুকদার, অলিউর রহমান, মুজিবুর রহমান, আনছার মিয়া, প্রমুখ।
    ঘটনাটির সত্যতা শিকার করে উক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবিএম মখলিছুর রহমান বলেন-ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসী উক্ত শিক্ষককে অপসারনের দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।
    এ ব্যাপারে শিক্ষক সাইদুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।