নবীগঞ্জে “বিয়াম ল্যাবরেটরী” হাই স্কুল নির্মান নিয়ে তীব্র উত্তেজনাঃসচেতন মহলে প্রশ্ন

    0
    282

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪জুন:নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে “বিয়াম ল্যাবরেটরী” হাই স্কুল নির্মান নিয়ে দখলদার মালিক ও নির্মানকারীগন দুটি-পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে আদালত বিয়াম স্কুল নির্মানে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তাই স্কুল নির্মান নিয়ে এলাকাবাসী মধ্যে ধুম্রজাল বিরাজ করছে  এবং সরকারী বিধান উপেক্ষা করে ১০০ গজ দুরত্বের মধ্যে দুটি হাই স্কুল নির্মান নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে নানা প্রশ্ন বিরাজ করছে।
    জানাযায়, আউশকান্দি র,প,উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে মাত্র ১০০ গজ দুরে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারের সন্নিনিকটে মিঠাপুর মৌজার সরকারী খাস খতিয়ানের ৭০শতক অকৃষি খাস ভূমির মালিকানা দাবি হবিগঞ্জ আদালতে পার্শ্ববতী দেওতৈল ও মিঠাপুর গ্রামের কয়েকজন সত্ব মামলা করেন। কিন্তু আদালতে মামলা থাকা সত্বেও কয়েকজন লন্ডন প্রবাসী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি আবেদন ভূমি মন্ত্রনালয়ে পাঠালে গত ৬মে “বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল” স্থাপনের জন্য ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় ।

    ঐ প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ব্যবস্থাপনা ও বন্তোবস্ত নীতিমালা-১৯৯৫ এর৩০(গ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক প্রস্তাব অনুমোদনের তারিখের পূর্ববর্তী ১২মাসের একই শ্রেনীর জমি ক্রয়-বিক্রয় দলিলের গড় মূল্যেও ভিত্তিতে নির্ধারিত মূল্যের ১০% হারে সেলামি ধার্য ও আদায় পূর্বক “বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল”নবীগঞ্জ শাখার অনূকুলে শর্তে দীর্ঘ মেয়াদি বন্তোবস্ত প্রদানে সরকার সিন্ধান্ত গ্রহন করেছেন।“বর্নিত জমি যে উদ্দ্যেশ্যে বন্তোবস্ত দেয়া হয়েছে সে উদ্দ্যেশ্য ব্যতীত অন্যকোন উদ্দ্যেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না” এই প্রজ্ঞাপন জারি পরে গত ১৭জুন হবিগঞ্জের বিদায়ী জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন তারাহুড়া করে কয়েকজন লন্ডনী কে নিয়ে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। মাত্র ১০০ গজের মধ্যে  সরকারী নিয়মকে উপেক্ষা পাশাপাশি দুটি হাই স্কুল নির্মান নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। সরকারী বিধানমতে ১কি.মিটারের মধ্যে পাশাপাশি দুটি হাই স্কুল নির্মান করা যাবে না।

    ১৭জুন ভূমির মালিক দাবিদার সত্ব মামলার বাদী হাজী মসুদ মিয়া গংরা আদালতে নিষেধাজ্ঞা ও স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন। ১৭জুনই হবিগঞ্জ যুন্ম ১ম আদালতের জেলা ও দায়রা জজ মামলা বিবাদী হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কেন নতুন অবস্থায় বন্দোবস্ত না দেন সেই স্থগিতাদেশ দেন। আদালত ঐ সংবাদ নোটিশে বিরোধীয় জায়গায় স্থগিতাদেশ রহিয়াছে বলে বিবাদীদের জানান। কিন্তু এ আদেশ থাকা সত্বেও নির্মানকারীরা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন,স্কুল নির্মানের পায়তারা, স্কুলের পরিচালনা কমিটি গঠন,হঠাৎ করে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের খবর এলাকায় প্রকাশ হলে এলাকার সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। স্কুল নির্মান প্রক্রিয়া নিয়ে সত্বমামলার বাদীপক্ষ দখলদারগন ও নির্মানকারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    এব্যাপারে সত্ব মামলার বাদী হাজী মসুদ মিয়া গংরা জানান আমাদের আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বিবাদী পক্ষ জোরপূর্বক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে ঘর নির্মানের পায়তারা করছে। তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। হাজি মসুদ মিয়া কেউ আদালতের নির্দেশ না মানলে কি করবো জনগনকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদ করবো।আমরা এলাকাবাসী কাউকে না জানিয়ে লন্ডনীরা উড়ে এসে জুড়ে বসছেন।
    জায়গার দখলদার ফকির ফজলু মিয়া বলেন আমরা এই জায়গা র্দীঘ ৪০বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি। আদালতে আমাদের সত্ব মামলা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েকজন লন্ডন প্রবাসী এসে এই ভুমিতে জোর করে বিয়াম স্কুল নির্মানের পায়তারা করছেন আমাদের জান যাবে তবু বেআইনি ভাবে স্কুল নির্মান করতে দিবো না।

    দেওতৈল গ্রামের কাচন মিয়া বলেন এখানে বিয়াম স্কুল নির্মান হবে এলাকাবাসী কেউ জানে না। কখন কমিটি গঠন ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে কিছুই আমরা জানি না। এলাকাবাসী ও দখলদার এবং সত্ব মামলার বাদীদের নিয়ে মত বিনিময় না করেই জোরে স্কুল নির্মানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
    বিয়াম স্কুলের দাতা সদস্য লন্ডন প্রবাসী প্রভাষক আব্দুল হান্নান জানান,তারা এলাকায় স্বার্থে লন্ডন প্রবাসীদের ফান্ডের মাধ্যমে স্কুল নির্মান করছেন। এখানে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা আছে বলে জানেনা।
    আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটি সভাপতি মুরশেদ আহমদ বলেন বিয়াম স্কুল নির্মানের স্বার্থে আমি এলাকার গন্যমান্য সবাই কে নিয়ে চেষ্টা করেছি কিন্তু পরিচালনা কারীদের দাওয়াত জনিত ত্রুটির কারনে সম্ভব হয়নি। তাই ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে সবাই আসেনি। কিন্তু এলাকাবাসীকে পাশ কাঠিয়ে কোন কিছু করলে উত্তেজনা ও দাঙ্গা হাঙ্গামার সম্ভাবনা রয়েছে।

    নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিয়াম স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ আমরা পেয়েছি।

    যেহেতু আদালতের মামলা হয়েছে তাই মামলা নিস্পত্তি হবার আগ পর্যন্ত বিয়াম স্কুল নির্মানের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরিচালনা কমিটি গঠন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ,ও মামলার বিষয়ে তিনি বলেন আমি আসার আগে হয়েছে আমি এসব জানিনা। বর্তমানে আদালতের আদেশ মেনে সব কিছু করতে হবে।