নবীগঞ্জে বসত ঘরে আগুনঃছাই থেকে পুড়া দেহ উদ্ধার

    0
    227

    আটক- ৩, এলাকায় ধূম্রজাল, কাটেনি রহস্যের জট!

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০ডিসেম্বর,মতিউর রহমান মুন্না

    নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে একটি বসত ঘরে আগুনে পুড়া অজ্ঞাতনামার (৪০) মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। বসত ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর থেকে পাশের বাড়ির গীতা রাণী দাশ নামের মানষিক ভারসাম্যহীন গৃহবধূকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয়দের ধারনা মৃত দেহটি গীতা রাণী দাশের হতে পারে।

    রবিবার দুপুর ১ টার দিকে মৃত দেহটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- গীতা রাণী দাশের স্বামী লিটন দাশ, শ্বশুর বিশল দাশ, শাশুড়ী জবরাণী দাশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বিশল দাশের পুত্র লিটন দাশের সাথে প্রায় ৩ বছর পূর্বে পার্শ্ববতী বানিয়াচং উপজেলার ঝিলোয়া গ্রামের প্রেমানন্দ চৌধুরীর কন্যা গীতা রাণী দাশের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন পরই লিটন জানতে পারে তার বিবাহিত স্ত্রী মানষীক ভারসাম্যহীন।

    এ বিষয় নিয়ে উভয় পরিবারের লোকদের মধ্যে একাধীকবার শালিশ বৈঠক হয়। এভাবেই কেটে যায় ২বছর, এরপর তাদের ওরসে জন্মনেয় একটি কন্যা শিশু। সেই শিশুর নাম রাখা হয় সাবন্তী দাশ। মানষিক ভারসাম্যনীন স্ত্রীকে নিয়ে রীতিমত পরিবার না চলায় প্রায় এক বছর পূর্বে লিটন দাশ মৌলভীবাজার এলাকায় আরেকটি বিয়ে করেন।

    এরপর থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী গীতা রাণী দাশ থাকতো বাড়ির সামনের একটি বাংলো ঘরে। গত শনিবার রাত প্রায় ৩টার দিকে হঠাৎ স্থানীয় লোকজন দেখতে পান লিটন দাশের পার্শবর্তী ইরেশ দেবনাথের বাড়ীতে আগুন লেগেছে। মানুষ আসতে আসতে প্রায় সব কিছু পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। তবে এসময় ইরেশ দেবনাথের বসত ঘরে কেউ ছিলনা। হঠাত করে কিভাবে কোন সূত্র ছাড়াই অগুন লাগলো এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।

    এর পরে যে যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে অর্থাৎ  রবিবার সকাল ১০ টার দিকে মানষিক ভারসাম্যহীন গৃহবধূ গীতা রাণী দাশকে বাড়ী ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজ খোজি করে কোথাও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর কিছুক্ষন পর আগুনে পুড়া ঘরের দেখা যায় মৃহ দেহের মতো কিছু একটা পরে আছে। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বাতেন খাঁনের নেতৃত্বে এসআই নজরুল ইসলাম সহ এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত দেহটি উদ্ধার করেন।

    তবে মৃত দেহটি সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। এদিকে মানষিক ভারসাম্যহীন গৃহবধূ গীতা রাণী দাশ নিঁেখাজ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন ধারনা করছেন উদ্ধারকৃত আগুনে পুড়া মৃত দেহটি তারই। এঘটনায় সহন্দেহজনক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গীতা রাণী দাশের স্বামী লিটন দাশ, শ্বশুর বিশল দাশ, শাশুড়ী জবরাণী দাশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

    ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন- হবিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম।

    এব্যাপারো এস আই নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।