নবীগঞ্জে বকেয়ার দাবীতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ফের অবরোধ

    0
    267

    সানিউর রহমান তালুকদার,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দিতে জে.আই.সি স্যুট লিমিটেড গার্মেন্টসে বকেয়া বেতন না পাওয়ায় ফের মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সকল গার্মেন্টসের ন্যায় নবীগঞ্জের জে.আই.সি স্যুট গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে করোনা ভাইরাসের জন্য ১০ দিনের বন্ধ ঘোষণার
    কারনে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ক্ষুব্ধ নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রায় আধা ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও এলাকার গণ্যামন্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে শ্রমিকদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
    জানাযায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলায় আউশকান্দি শহীদ কিবরিয়া চত্বর এলাকায় অবস্থিত জে.আই.সি স্যুট লিমিটেড গার্মেন্টস এর দুটি পোশাক কারখানা রয়েছে। উক্ত কারখানা দুটিতে প্রাায় ২ হাজার নারীসহ প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কাজ করে। দীর্ঘদিন ধরে নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাদেরকে বেতন বৈষম্যের মাধ্যমে কাজে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অনেক শ্রমিককে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন প্রদান করা হয় এবং তাদেরকে প্রতিদিন ৪/৫ ঘন্টা অতিরিক্ত কাজ করিয়ে কোনো অতিরিক্ত বেতনও প্রদান করা হয় না। উপরোন্ত বায়ার আসলে তাদের বলা হয় শ্রমিকদের বেতন ৮/১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। শেখানো কথা বায়ারদের কাছে না বললে শ্রমিকদের নির্যাতন করা হয় এবং চাকরীচ্যুত করা হয়। গত দুই মাস যাবত শ্রমিকদের কোনো বেতন ভাতা প্রদান করা না হলে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৫ টা থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা আধা ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ, শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, গোপলা বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা জন্য গার্মেন্টস মালিক পক্ষের সাথে আলোচনায় বসেন। এ সময় দ্রুত শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান করা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করলে দেশের বর্তমার পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে অবরোধ তুলে নেয়। তবে সময় মতো বেতন না দিলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানান আন্দোলনকারী শ্রমিকরা।