নবীগঞ্জে পাহার কেটে উজার করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট !

    0
    245

     দিনারপুরের ৪ পাহাড় খেকোর বিরোদ্বে মামলা:কোথায় পরিবেশ অধিদপ্তর ?
    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,আগস্ট ,মতিউর রহমান মুন্না:  পাহাড় কাটার বিষয়টি মোবাইল কোর্টের আওতা ভুক্ত না হওয়ায় যথাযথভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এসিল্যান্ড। প্রশাসনিক জটিলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলছেই নবীগঞ্জ উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি পাহাড়ী অ ল খ্যাত দিনারপুরের পাহাড় কাটা। পাহাড় কাটার কাটার সংবাদ সচিত্রসহ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পর গত মঙ্গলবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আনোয়ার হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে কয়েকটি কাটা পাহাড়ে অভিযান পারিচালনা করেন।

    এ সময় অপরাধিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে গোপলার বাজার ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশীলদার আশুতোশ বনীক বাদী হয়ে ৪ জন পাহাড় খেকোর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১৫ জন কে আসামী করে সংশ্লিষ্ট আইনে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মামলার আসামীরা হল, বনগাও গ্রামের মৃত নোয়াব উল্লাহর ছেলে সোনা মিয়া, মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে আজমল হোসেন, রহমত মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া, মুজিবুর রহমান নামে জনৈক ব্যক্তি।
    এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালী সোনা মিয়ার নেতৃত্বে এলাকায় গড়ে উটেছে পাহাড় কাটার বিশাল একটি সিন্ডিকেট। তার সাথে রযেছে একই গ্রামের সেলিম মিয়া, কমলি মিয়া, জয়নাল মিয়া, ময়না মিয়াসহ একদল পাহাড় খেকো। আর এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই দিনারপুর এলাকার পাহাড় কাটা হয়। প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে মাটি ও বালি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেটের পডফাদারসহ সদস্যরা। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা বলেও অভিযোগ রয়েছে অহরহ।
    এ বিষয় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হয়। এরই প্রেক্ষিতে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন মোবাইল কোর্ট। গত মঙ্গলবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেন পাহাড় কাটার কয়েকটি স্পটে সরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান। তবে এ সময় জড়িতদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে পাহাড় খেকোদের তথ্য সংগ্রহ করেন।
    এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, পাহাড় কাটার বিষয়টি মোবাইল কোর্টের আওতা ভুক্ত না হওয়ায় যথাযথভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিষয় সংক্রান্তে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরে পত্র প্রেরন করলে তারাও ঘটনাটি তদন্ত করেছেন এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ইউপি তহশীলদার আশুতোষ বনিককে বাদী করে থানায় একটি মামলা দেয়া হয়েছে।