নবীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৯জনের বিরুদ্ধে মামলা

    0
    198

    মতিউর রহমান মুন্না:নবীগঞ্জের করগাও ইউনিয়নের বেগমপুর আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আব্দুল আজিজ ও সিতার মিয়ার লোকজনের মধ্যে গত রবিবার বিকালে এক ভয়াবহ সংঘর্ষে পুরো গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিনত ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে উভয় পক্ষের ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪’শতাধিক লোকদের আসামী করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতই আব্দুল আজিজসহ উভয় পক্ষের ৮জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার করগাঁও ইউনিযনের বেগমপুর গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ ও সিতার মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এছাড়া উভয়ের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা ও চলে আসছিল।
    গত রবিবার সন্ধার পর সিতার মিয়ার পক্ষের মুজিবুর রহমান একটি ইট বুঝাই ঠেলাগাড়ী নিয়ে আব্দুল আজিজ পক্ষের আব্দুল্লাহ মিয়ার বাড়ির উপর দিয়ে যাওয়ার পথে তাদের সাথে বাদানুবাদ হয়। এর জের ধরে আব্দুল আজিজ তার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষ সিতার মিয়ার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

    খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা কালে উত্তেজিত লোকজন পুলিশের উপর হামলা করে। মুহুর্তের মধ্যে বেগমপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ প্রায় শর্টগানের শতাধিক রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেছে। হামলা, সংর্ঘষ এবং পুলিশের ছুরা গুলিতে পুলিশের দারোগা, ৩ কনস্টেবলসহ প্রায় অর্ধ শতাধিত লোক আহত হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আব্দুল বাতেন খানেঁর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

    এবং উভয় পক্ষের ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হল, আহত সিতার মিয়া (৩০), জয়নাল আবেদীন (৩০), সিরাজুল ইসলাম (৫৫) কে পুলিশের তত্ত্বাবধানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অপর গ্রেফতারকৃত আব্দুল আজিজ, লুৎফুর রহমান, সিপুতুর রহমান, শেখ সাদী ও সফিকুল ইসলাম থানা হাজতে আটক রয়েছে।

    এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনর্চাজ জানান, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা কালে লোকজন পুলিশের উপর হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের ৮জনকে গ্রেফতার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে উভয় পক্ষের ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪’শতাধিক লোকদের আসামী করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেছে।