নবীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় ৬৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা  

    0
    241

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮এপ্রিল,মতিউর রহমান মুন্নাহবিগঞ্জের নবীগঞ্জের কসবা গ্রামের চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় পলাতক ৬৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি আদালত এ পরোয়ানা জারি করেছেন। উক্ত মামলায় বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন একজন। বাকি ১২৬ জন জামিনে রয়েছে। এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৪৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিলেও আদালতের নির্দেশে এজাহারভূক্ত আরও ৪৬ জনকে এতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ফলে এ মামলায় চার্জশীটভূক্ত আসামীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯০ জনে।

    মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নবীগঞ্জের কসবা গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিপাই মিয়ার গোষ্ঠীর সাথে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল একই গ্রামের নঈম উদ্দিন গংদের সাথে। এর জের ধরে ২০১৩ সালের ১০ মে প্রতিপক্ষের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লিপাই মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের উপর চড়াও হয়। এ সময় বেধড়ক পিটুনিতে মারা যায় আব্দুল বাছিত, জাকির হোসেন ও সেবুল মিয়া। হামলাকারীরা তাদের লাশ গ্রামের পার্শ্ববর্তী বিবিয়ানা ফেরী নদীতে ফেলে দেয়। হামলায় আহত হয় অন্তত ৪০ জন।

    ঘটনার পর থেকে নিহত ৩ জনের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিলনা। দু’দিন পর ১২ মে বিবিয়ানা ফেরী নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উক্ত ঘটনায় ইকবাল হোসেন স্বপন বাদি হয়ে ২০৪ জনের নাম উলেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি মামলার চার্জশীট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি বসু দত্ত চাকমা। এতে তিনি ১৪৪ জনকে অভিযুক্ত করেন। কিন্তু বিচারক বিশেষ ক্ষমতায় চার্জশীট থেকে বাদ যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় আরও ৪৬ জনকে চার্জশীটে অন্তর্ভূক্ত করেন।

    বাদিপক্ষ জানায়, বর্তমানে মুজিবুর রহমান, ফারুক মিয়া, তাহের মিয়া, আমিরুল, বোরহান উদ্দিন, সাদ্দাম, বক্করসহ  ৫৭ জন পলাতক রয়েছে।

    তারা আরো জানান, বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে লিপাই মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজন প্রবাসসহ দেশের বিভিন্ন চলে যায়। এতে এরা দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার অধিকাংশ আসামী জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসায় নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বাদিপক্ষের লোকজন। বাদী পক্ষের দাবী-আসামীরা তাদের জমিজমা জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এমনকি রাস্তায় চলাচল করতেও বাধার সৃষ্টি করে। বাদিপক্ষের অভিযোগ, চার্জশীটে পলাতক দেখানো আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতারে তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছেনা।