নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বেলাল হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আফছর গ্রেফতার

    0
    245

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২মে,মতিউর রহমান মুন্না: নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সিএনজি শ্রমিক বেলাল মিয়া হত্যাকান্ড মামলার অন্যতম ২নং আসামী আফছর মিয়া (৪৫)কে ঘটনার ৪দিন ও মামলা দায়েরের দু’ দিনের মাথায় গত শুক্রবার ভোরের দিকে শ্রীমঙ্গল থেকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ওই দিনই তাকে জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। ধৃত আফছর নবীগঞ্জ পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের আঃ হেকিমের পুত্র। ঘটনার পর পরই সে পলাতক ছিল।

    উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল বিকালে শহরের শেরপুর রোডস্থ মা-হোটেলের ও মাইওয়ান ব্যবসা প্রতিষ্টানের সামনে দাড়ানো অবস্থায় প্রতিপক্ষ ছাত্রদল নেতা রায়েছ চৌধুরী ও সামছু মিয়া’র নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সিএনজি শ্রমিক বেলাল মিয়া কে কুপিঁয়ে রক্তাক্ত জখম করে। মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রচুর রক্তকরণ হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত সিলেট নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে স্বজনরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বেলাল মিয়ার মৃত্যু ঘটে। নিহত বেলাল মিয়া পৌর শহরের নোয়াপাড়া গ্রামের সাবেক পত্রিকার হকার ও সিএনজি ম্যানাজার ফারুক মিয়ার ছেলে এবং পত্রিকার এজেন্ট মোশাহিদ আলী ও মিয়াধন মিয়ার ভাতিজা। ঘাতকদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন কপিন নিয়ে শহরে মৌন মিছিল ও শোক র‌্যালী বের করে। ২৭ এপ্রিল সোমবার বিকালে জানাযার নামাজ শেষে তাকে নোয়াপাড়াস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফারুক মিয়া গত ২৮ এপ্রিল রাতে ২৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা নং ৪১ তাং ২৮/০৪/২০১৫ইং দায়ের করেন। উক্ত মামলার অন্যতম ২ নং আসামী আফছর মিয়াসহ অন্যান্য আসামীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও গ্রেফতার করতে পারে নি।

    গত শুক্রবার ভোর রাত ৪ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভী বাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের সহযোগিতায় তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ শ্রীমঙ্গল সদরের রূপসীপুর এলাকাস্থ বোনের বাসায় অভিযান চালিয়ে আফছর উদ্দিনকে গ্রেফতার করে নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।

    অপরাপর আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম।