নবীগঞ্জে গ্রামীনফোন টাওয়ারে ২ খদ্দেরসহ ১পতিতা আটক

    0
    219

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬এপ্রিল,মতিউর রহমান মুন্নাঃ শরীরে বোরকা, অথবা অন্য ড্রেস, মুখে নেকাব বা ওড়না দিয়ে ডাকা। চোখ দুটি খোলা। স্নো-পাউডার মেখে একিবারে অস্তির অবস্থা। প্রথমে দেখে নিরেট কোনো ভদ্র, মার্জিত পর্দানশীল কেউ মনে হবে। পথচারির চোখে চোখ পড়ার সাথে সাথে ইশারায় বুঝিয়ে দেয়, তারা সমাজের অন্য নারীর মতো নয়। তাদের লক্ষ্য ভিন্ন। বুঝিয়ে দেয় অর্থ বিনিময়ে যে কারো সঙ্গে সময় তারা কাটাতে প্রস্তুত। তাদের পরিচয় পতিতা।

    এরা বোরকাটা পরে মূলত নিজের পরিচয় ঢেকে রাখতে। বোরকার প্রতি মানুষের যে আস্থা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা রয়েছে তা এসমস্ত নারীদের জন্য বিনষ্ট হচ্ছে। নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে এই ব্যবসা চালানোর জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় গড়ে তোলা হচ্ছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এভাবে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে।

    নবীগঞ্জ শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দিন নেই রাত নেই, চলছে ছদ্মবেশী পতিতাদের অবাধ বিচরণ। দিনকে দিন তাদের বিচরণ বাড়ছে, কমছে না। ক্রমে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। শহরের শেরপুর রোডের মিনি হোটেলসহ কয়েকটি চিহ্নিত স্থানে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসার বাজার।

    গত শনিবার বিকালে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম তিমিরপুরে গ্রামীণফোনের টাওয়ারের একটি রুমে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় হাতেনাতে সিলেট ও যশোরের ২ যুবক ও বি-বাড়িয়া সদরের ১ যুবতি পতিতাকে আটক করা হয়েছে। ওই বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে স্থানীয় জনতা তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ ওইদিন রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ এর কার্যালয়ে হাজির করলে খদ্দেরদেরকে ৫ শত টাকা করে জরিমানা ও পতিতাকে ১ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।

    জানাযায়, গত শনিবার উল্লেখিত সময়ে স্থানীয় কিছু লোক পৌর এলাকার পশ্চিম তিমিরপুরস্থ গ্রামীণফোনের টাওয়ারের নিকটে যাওয়া মাত্রই দেখতে পান ২ যুবক ও বোরকা পড়িহিত ১ যুবতি রহস্যজনকভাবে টাওয়ারের দারোয়ান থাকার একটি রুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। বোরকা পড়িহিত যুবতিসহ ২ যুবক রুমে ডুকে রুমের দরজা বন্ধ করার বিষটি তাদের সন্দেহ হলে কয়েক জন ওই টাওয়ারের গেইটের ভিতরে প্রবেশ করে রুমের দরজা খুলে ওই যুবক-যুবতিকে অনৈতিক লিপ্ত অবস্থায় দেখতে পান। লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে যুবতি ও ২ যুবক জানায় তারা টাওয়ার মেরামত করতে সিলেট থেকে এসেছে।

    ঘটনার খবরে আশপাশের শত শত জনতা টাওয়ার ঘেরাও করে তাদেরকে প্রায় আধা ঘন্টা সময় আটক করে রাখে। এক পর্যায়ে আটককৃতদের গনধোলাই দিলে তারা গ্রামীণ ফোনের টাওয়ারের ব্যাটারী চার্জের জন্য মেটাল প্লাস কোম্পানি থেকে এসেছে বলে জানায়। এক পর্যায়ে তারা সিলেট থেকেই অনৈতিক কাজের এ পরিকল্পনা করে নবীগঞ্জে আসে এবং সিলেট থেকে আসার আগেই উক্ত টাওয়ারের ভারপ্রাপ্ত দারোয়ান পৌর এলাকার জয়নগর গ্রামের শ্যাবনের মাধ্যমে পতিতালয়ের ওই যুবতিকে নির্ধারিত সময়ে টাওয়ারে উপস্থিত রাখা হয়।

    তবে টাওয়ারের ভারপ্রাপ্ত দারোয়ান শ্যাবল বলে মেটাল প্লাস কোম্পানির গাড়ির ড্রাইভার রুবেল মিয়া ওই পতিতাকে সিলেট থেকেই নিয়ে এসে তার রুমে ডুকে এ অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। উক্ত পতিতা রানু বেগম বি-বাড়িয়া সদরের আব্দুল করিমের মেয়ে।

    পরে নবীগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হলে থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে। আটকৃতরা হল, সিলেট উপশহর এলাকার সাদ্দাম হোসেনের ছেলে রুবেল মিয়া (২২), যশোহরের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রবিউল হোসেন (২১)।

    প্রেরক

    নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

    মোবাইলঃ ০১৭১১৯৫৬১১২