নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্র অনুজ হত্যাঃমা-মেয়েও ছেলে আটক

    0
    222

    স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহতের মালামাল উদ্ধার

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২ডিসেম্বর,মতিউর রহমান মুন্নাঃ নবীগঞ্জ উপজেলার জগন্নথপুর গ্রামে চা ল্যকর কলেজ ছাত্র অনুজ রায় (২১) হত্যা মামলায় একই গ্রামের মা, ছেলে ও বোনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের সিকারোক্তি ও নিহতের সাথে থাকা মালামাল একং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- ওই গ্রামের নিয়তী রাণী দাশ, মেয়ে শিল্পী রাণী দাশ, ছেলে সুমন দাশ। আটকৃতদের হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের জগন্নথপুর গ্রামে একটি ধানের খলা থেকে ওই গ্রামের অখিল রায়ের ছেলে সিলেট মদন মোহন কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্র অনুজ রায় (২১) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    এ ঘটনায় নিহত আনুজ রায়ে মা সুবিতা রাণী রায় বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত কয়েকজন কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো ওই গ্রামের ইমন দাশ, রিপন দাশ, লিছকন দাশ। ওই মামলার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাতে এস আই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার আসামী ইমনের মা নিয়তী রাণী দাশ ও তার বোন শিল্পী রাণী দাশকে থানায় নিয়ে আসে। আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য ও সাক্ষ্য প্রমানে হত্যায় তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদের সিকারোক্তি মোতাবেক বৃহস্পতিবার রাতে মামলার প্রধান আসামী ইমনের ভাই সুমন দাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    গ্রেফতারকৃত সুমনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল জগন্নথপুর গ্রামের দক্ষিন পাশে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নিহত অনুজের ব্যবহৃত ব্যাগ ও কাপরসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এবং আটককৃত নিয়তী দাশের স্বীকারোক্তিতে নিহতের সাথে থাকা নগদ ৩হাজার ৩০টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল আটককৃত মা,মেয়ে ও ছেলেকে হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম জানান, অনুজ রায় হত্যা ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ৩ জনকে আটক করা হয় এবং তারা নানা চা ল্যকর তথ্য দিয়েছে। আটকৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহত অনুজের ব্যবহৃত ব্যাগ, কাপর ও ৩হাজার ৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    উল্লেখ্য, ওই গ্রামের অখিল রায়ের ছেলে অনুজ সিলেটে হোটেলে থেকে সিলেট মদন মোহন কলেজে লেখা পড়া করতো। ঘটনার কিছু দিন পুর্বে বাড়িতে এসে ছিল। পরীক্ষা দেয়ার জন্য অনুজ রায় ঘটনার আগের দিন সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে রওয়ানা হয়। এর পর থেকে পরিবারের লোকজনের সাথে তার কোন যোগাযোগ ছিল না। পরের দিন ১২ নভেম্বর হঠাৎ স্থানীয় লোকজন কলেজ ছাত্র অনুজ রায়ের লাশ দেখতে পান।

    খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।