নবীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন

    0
    212

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১ফেব্রুয়ারী,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
    তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত ৩১ জানুয়ারী হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের মাধ্যমে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মোঃ মোক্তাদির হোসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
    জানা যায়, নবীগঞ্জ গজনাইনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
    আবুল খায়েরের পিতা মতিউর রহমান ওরফেউমরা মিয়া একজন রাজাকার ছিলেন। ১৯৭১ সাথে মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি পাক-হানাদার বাহীনিকে সহযোগিতা করেন। তার সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহীনি উপজেলার দিনারপুর হাই স্কুলে একটি ক্যাম্প স্থাপন করেন।
    এ সময় তার পিতার সহযোগিতায় পাকা-হানাদার বাহীনি নিরিহ বাঙ্গালির উপর নির্যাতন চালায়, হত্যা করে। এ সময় আবুল খায়ের বয়স ছিল প্রায় ১৯ বছর। তার পিতার নির্দেশে পাক হানাদার বাহীনি সাথে সম্মিলিত হয়ে আবুল খায়ের গোলাপ নিরিহ লোকজনদের বাড়িতে হামলা, অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ ও লোটপাট করে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়-স্বাধীনতাপূর্বে গোলাপ একজন স্বল্প আয়ের যুবক ছিলেন। কোন রখমে চলত তাদের অভাবের সংসার। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের ভাগ্য বদলে দেয় পাক হানাদার বাহীনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আবুল খায়ের গোলাপ স্থানীয় ব্যাক্তিদের হত্যা করে তাদের সম্পত্তি দখল করে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়। ১৯৭২ সালে গোলাপের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নি সংযোগের অভিযোগ উত্যাপিত হয়।
    পরে নবীগঞ্জ থানা ও হবিগঞ্জ মহকুমা আদালতে মামলা দায়ের হয়। কিন্তু তৎকালীন সময়ে তার ক্ষমতার দাপটে কিছু কিছু অভিযোগ চাপা পড়ে যায়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরুধী অপরাধের অভিযোগ এনে একই উপজেলার নিশাকুড়ি গ্রামের আছকির উল্লার ছেলে মো. মানিক মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
    মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য হবিগঞ্জ পুলিশ
    সুপারকে নিদের্শ দেন। সে অনুসারে হবিগঞ্জ জেলার গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. মোক্তাদির হোসেন দির্ঘ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।