নবীগঞ্জে আনন্দ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে গরুর ঘাস কাটানো হয়  

    0
    209

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০এপ্রিলঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে রস্ক-২ প্রকল্পের আওতায় গয়াহরি আনন্দ স্কুলের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, মুল শিক্ষক’র বদলে বদলী শিক্ষক দিয়ে পাঠদান, স্কুল চলাকালীন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে গরুর ঘাস কাটানোসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ উপজেলার ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর মোঃ আলা উদ্দিন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উক্ত স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল পুর্বক নতুন শিক্ষক নিয়োগ করে স্থানান্তরিত করেছে। এতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা আনন্দ উল্লাস করলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্কুল ঘরের মালিক নিত্যানন্দ দাশ, তার ছেলে শিক্ষক সাগর দাশসহ তার পরিবারের লোকজন। সম্প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘর মালিকের সাথে করা চুক্তি বাতিলের পত্র প্রেরন করলে নিত্যানন্দ দাশের পরিবারের লোকজন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষিকার একই গ্রামে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে।

    বিভিন্ন সুত্রে প্রাপ্ত খবরে জানাযায়, গয়াহরি গ্রামের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নিত্যানন্দ দাশ দীর্ঘদিন ধরে তৎকালীন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তার বাড়িতে স্কুল পরিচালনা করে আসছে। ওই স্কুল গুলোতে তার মেয়ে মৌসুমী দাশ ( সিলেট এমসি কলেজে অধ্যায়নরত) ও ছেলে সাগর দাশকে শিক্ষক নিয়োগ দিলেও বাস্তবে তারা ক্লাস না করে তাদের বদলা অপর ভাই, বোন আবার কখনও পরিবারের অন্য সদস্য ছাত্র-ছাত্রীদের নামমাত্র ক্লাশ নিতেন। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে আসছে, ক্লাশে যাওয়ার পর কোমলমতি ওই শিক্ষার্থীদের দিয়ে লেখাপড়ার বদৌলতে বাড়ির কাজ কর্ম, লাকড়ি কুড়ানো, গরুর ঘাস কাটানো কাজে তাদের লাগানো হতো বলে অভিযোগে প্রকাশ। বর্তমান উপজেলা ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকেই ওই স্কুলে এসব অভিযোগ ছাড়াও নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। ফলে উক্ত স্কুলের শিক্ষককে বাতিল করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ঘর এর চুক্তি বাতিল করে নতুন ঘর নেয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সেভাবেই আগানো হয়েছে। বর্তমানে স্কুলটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলেও তিনি দাবী করেন।