নবীগঞ্জে অস্ত্রসহ হবিগঞ্জের দু’ যুবক আটক

    0
    262

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪আগস্ট,মতিউর রহমান মুন্না: নবীগঞ্জে একটি সালিশে হবিগঞ্জ শহরের তিন যুবক একটি খেলনা পিস্তল, একটি চাপাতি ও একটি ছুরি নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে। এ সময় জনতা রিংকু ও শুভন নামে দুই যুবককে আটক করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার বিকেলে নবীগঞ্জের ইমামবাড়ি বাজারে।

    স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী আবাসিক এলাকার শেখ জসিম উদ্দিনের ছেলে শেখ রিংকু তার মালিকানা জায়গায় নবীগঞ্জের লহরজপুর নামক স্থানে বৃক্ষ রোপনের জন্য বানিয়াচং থানার হরিপুর গ্রামের দিনমজুর মৃত লালা মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদিরকে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেন।

     বুধবার বৃক্ষ রোপনের জন্য গর্ত করে রাখা হলে শেখ রিংকু তার কথা মত কাজ হয়নি দাবী করে কাদির এর সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে শেখ রিংকু বানিয়াচং থানায় শ্রমিক আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার বানিয়াচং থানার এসআই আব্দুল ছালাম মামলাটি তদন্ত করেন।

    এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আপোষে দেখার প্রস্তাব দিলে উভয় পক্ষ এতে সম্মতি দেন। গতকাল সোমবার বিকালে ছিল শালিসের নির্ধারিত তারিখ। স্থানীয় ইমামবাড়ি রাজ রানী সুভাষিনী স্কুলের সামনে শালিস বৈঠকের শেষ পর্যায়ে উভয় পক্ষ পুণরায় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে হবিগঞ্জের শেখ রিংকু ও তার সহযোগি বন্ধু শেখ শুভন ওরপে শুভ খেলনার পিস্তুল ও ধারালো ছুরি এবং একটি চাপাতি নিয়ে কাদির এবং তার ভাতিজা হেলাল মিয়ার উপর হামলা করে।

    ওই সময় উত্তেজিত জনতা ঘেরাও করে অস্ত্রসহ শেখ রিংকু এবং শেখ শুভন ওরপে শুভকে আটক করে স্থানীয় ইমামবাড়ি বাজারে বিছমিল্লাহ ট্রেডার্সে আটক করে রাখা হয়। শেখ শুভন বানিয়াচং থানার কালাইনজুড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। হবিগঞ্জের শ্যামলী আবাসিক এলাকায় বাসা রয়েছে। এদিকে খেলনার পিস্তল ও ধারালো অস্ত্রসহ হবিগঞ্জের দু’ সন্ত্রাসী আটকের খবরে মুহুর্তের মধ্যে শত শত মানুষ ইমামবাড়ি বাজারে জড়ো হয়ে বিছমিল্লাহ ট্রেডার্স ঘেরাও করে রাখে।

    এ সময় তাদের অপর সহযোগি কালিয়ারভাঙ্গা ইউপির লহরজপুর গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে আশিকুল ইসলাম আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া খেলনার পিস্তল নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় তাকেও আটক করে জনতা। পরে কতিপয় লোকজন তাকে ছেড়ে দেয়।

    এনিয়ে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানায় খবর দিলে ওসি (তদন্ত) গৌর চন্দ্র মজুমদার এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। প্রথমে স্থানীয়রা পিস্তলটি আসল মনে করেন পরে উপস্থিত লোকজনের সামনে যাচাই পুর্বক দেখা যায় উদ্ধারকৃত পিস্তলটি আসল নয়। এটা প্লাষ্টিকের খেলনার পিস্তল। তবে ধারালো ছুরি এবং একটি ছোট চাপাতি আসল। পরে পুলিশ আটককৃত শেখ রিংকু ও শেখ শুভনকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ থানায় নিয়ে আসেন।

    এছাড়া শ্রমিক আব্দুল কাদির ও তার ভাতিজা হেলাল মিয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলেন, শালিস বৈঠকে অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত হওয়া রহস্য জনক। প্রকৃত অর্থে হবিগঞ্জ থেকে তারা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এসেছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। তাদের দাবী পিস্তল আসল না নকল বড় কথা নয়। ওই পিস্তল দিয়ে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি করা হয়েছে।