নবীগঞ্জের জনতার বাজার-মৌলভীবাজার সড়কের বেহাল দশাঃদেখার যেন কেউ নেই ?

    0
    198

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭জুন,মতিউর রহমান মুন্নাঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত নবীগঞ্জের জনতার বাজার-মৌলভীবাজার সড়কের আথানগীরি থেকে গজনাইপুর পর্যন্ত রাস্তা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষদের। সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, উক্ত সড়ক নির্মাণ কাজে নি¤œমানের মালামাল ব্যবহার করায় সড়কের অনেকস্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে প্রায়ই উক্ত সড়কে যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিক্রা হতে হচ্ছে। সড়কের দুরাবস্থা দেখার যেন কেউ নেই..? সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে বেহাল দশা বিরাজ করছে। এর মধ্যে বৃষ্টি হলে পানি জমে গর্তগুলোতে কাদা, নর্দমা একাকার হয়ে সড়কটি পুকুরে পরিনত হয়!

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে সাথে যোগাযোগের একমাত্র বাইপাস সড়ক হিসেবে ওই সড়কই এক সময় বেশি চলাচল করতো উপজেলার মানুষ। এমনকি মৌলভীবাজারের সিমান্ত এলাকা আথানগীরি ও নবীগঞ্জের শতক, তারালিয়া, লামরোহ, মাহমদপুর, গজনাইপুরসহ ১০/১২টি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। এর মধ্যে উল্লেখিত গ্রাম গুলো থেকে প্রায় ৩/৪ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দিনারপুর কলেজে যাওয়া আসা করে।

    কিন্তু বছর দিন ধরে সড়কের বেশীর ভাগ অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজে পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যেন পুকুরে পরিনত হয়ে যায়। সড়কটি খাই খন্দকের কারনে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অনেক প্রাণহানীসহ পগুত্ব বরণ করতে হচ্ছে সাধারন মানুষদেরকে। এ ছাড়া সড়কে দ্রুতগামী যানবাহনগুলো সড়কের ভাঙ্গার কারনে একটি অপরটিকে ওভারট্যাক করতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এর জন্য ওই সড়কে যানচলাচল আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে।

    দিনারপুর কলেজের একাদশ শেণ্রীর ছাত্রী আসমা জান্নাত মনি এ প্রতিবেদককে জানায়, “আমরা শতক থেকে প্রায় ২/৩কিঃমিঃ জায়গা পায়ে হেটে কলেজে যাই। কারণ আমারে চলাচলের প্রধান এই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যে যেখানে যেতে ২০/৩০ মিনিটে কলেজে পৌছার কথা সেখানে লেগে যায় ১ ঘন্টারও বেশি সময়। সড়কের দশা বেহাল হওয়ায় আগের মতো এক গাড়ী পাওয়া যায়না তাই অপেক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আমরা পায়ে  হেটেই কলেজে যাই। হেটে গিয়ে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে যাই যার কারনে ক্লাসে তেমন মনযোগ থাকেনা।

    বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়তে হয় পরিক্ষার সময় কারণ পরিক্ষার নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হওয়া যায়না। তাই যতাযত প্রদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।”

    স্কুলে যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা আক্তার মুক্তা জানায়, “ভাই কি আর বলবো স্কুলে যাওয়ার মূল সমস্য এই সড়কটি। সড়কের অবস্থা এত খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন স্কুলে যেতে মন চায়না। এর মধ্যে এখন প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়।

    কারন রাস্তায় অনেক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে গর্তের মধ্যে ময়লা জমে থাকে আর এই ময়লা বৃষ্টির পানি পেলে ভাগাড় হয়ে যায়। ফলে ভাল জামা পড়ে গেলে আর জামা ভাল থাকে না, রাস্তার কাদায় নোংড়া হয়ে যায়। তাই সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।”