নববর্ষে নারীদের লাঞ্চিতের অভিযোগে তথ্য চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন

    0
    210

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮এপ্রিলঃ বাংলা নববর্ষে কয়েকজন নারীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি তথ্য প্রমাণ দেয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মঙ্গলবার কয়েকজন নারীকে লাঞ্চিত করার এই ঘটনার বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ তুলে বলেছে, ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং যথাযথ তদন্ত হবে। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একজন উপ-উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটি বলেছে, বাংলা নববর্ষে কয়েকজন নারীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ ওঠার তিনদিন পরও তাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।

    গণমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে এই কমিটি তথ্য প্রমাণ দিয়ে সহায়তা করার জন্য প্রত্যক্ষদর্শীসহ সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কমিটির প্রধান অধ্যাপক নাসরিন আহমাদ বলেছেন, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা এবং তথ্যপ্রমাণ পেলে, তাদের তদন্ত এগিয়ে নিতে সুবিধা হবে। সে কারণে তারা সকলের সহযোগিতা চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন।

    বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যার আগে দেড় ঘন্টা সময় ধরে কয়েকজন নারীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।

    বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন প্রথমে এই অভিযোগ তুলে ঘটনার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

     এই সংগঠনের সভাপতি লিটন নন্দী দাবি করেন, তিনি এবং তার সংগঠনের কয়েকজন নেতা কর্মী ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজন নারীকে উদ্ধার করেন।

    শুক্রবার ঢাকায় ছাত্র ইউনিয়নের এক সমাবেশ থেকে লিটন নন্দী অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।

    লিটন নন্দীর বক্তব্য হচ্ছে, “ঘটনাস্থলে পুলিশের কয়েকটি সিসিটিভি থাকলেও তারা বলছে, এ ধরণের কিছু ঘটার ছবি পাওয়া যায়নি। অথচ সংবাদ মাধ্যমে ছবি প্রকাশ হয়েছে।”

    ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যম এবং ফেসবুকসহ সামাজিক নেটওয়ার্কে সমালোচনা চলছে। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে, এমন সংগঠনগুলোও এখন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছে।

    এদিকে পুলিশ মামলা করলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

    ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং যথাযথ তদন্ত হবে।

    বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট স্বত:প্রণোদিত হয়ে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়, পুলিশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।বিবিসি