নওগাঁর রাণীনগরে ১০টি গ্রাম প্লাবিতঃমাছ,ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    0
    320

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫আগস্ট,নাজমুল হক নাহিদ,নওগাঁঃ নওগাঁর রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর তিনটি স্থানে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে নদী তীরবর্তি এলাকার প্রায় ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে । এতে ওই এলাকার বাড়ী-ঘড় পানিতে অর্ধ নিমজ্জিত হওয়ায় ১৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে । ক্ষতি হয়েছে মাছ ও ফসলের ।

    এছাড়া ছোট যমুনা নদীর নওগাঁ সদরের সাথে রাণীনগর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা আত্রাই উপজেলার যোগা-যোগের একমাত্র পাকা রাস্তার প্রায় চারটি স্থানে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে ।
    জানা গেছে, গত ক’দিনের একটানা ভারি বর্ষন ও উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে হঠাৎ করেই আত্রাই ছোট যমুনা নদীতে হু হু করে পানি বাড়তে থাকে । পানির চাপে রবিবার রাতে রাণীনর উপজেলার কৃষœপুর সরদার পাড়া,আলাউদ্দীনের ইট ভাটা,ঘোষগ্রাম ঠাকুর পাড়া ও মেরিয়া নামকস্থানে যমুনা নদীর বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে যায় । এতে এক রাতেই ওই এলাকার কৃষœপুর,ঘোষগ্রাম,নান্দাইবাড়ী,মালি ,আতাইকুলা,হরিশপুর কুজাইল,মেরিয়াসহ নদী তীরবর্তি এলাকার প্রায় ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে । এতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে ।

    বন্যার পানি বাড়ী-ঘড়ে প্রবেশ করায় এলাকার উঁচু রাস্তা এবং কয়েকটি স্কুলে স্থান নিয়েছে বন্যা কবলিত মানুষ। সংশ্লিষ্ঠ সুত্র মতে ওই এলাকার প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির সদ্য রোপিত ধান পানিতে তলে গেছে । পাশা-পাশি ওই এলাকার পুকুর ডুবে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে । বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল । এছাড়া নওগাঁ-আত্রাই পাকা রাস্তার রাণীনগর উপজেলার কুজাইল স্লুইচ গেইট,দূর্গাপুর,প্রেমতলি ও নান্দাইলবাড়ী নামকস্থানে ব্যপক ফাটল দেখা দিয়েছে।

    এই সকল স্থানে কাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও গোনা ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এলাকার জনপ্রতিনিধসহ স্থানীয় লোকজন বালির বস্থা ভরাট করে ভাঙ্গন রোধে কাজ করছেন। যে কোন সময় রাস্তা ভেঙ্গে গেলে এলাকার হাজার,হাজার হেক্টর জমির ফসলহানীসহ পানি বন্দি হয়ে পরবে প্রায় লক্ষাধীক মানুষ । বন্ধ হয়ে যাবে নওগাঁ সদরের সাথে আত্রাই উপজেলার যোগা-যোগ ব্যবস্থা।
    এদিকে গতকাল সোমবার বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রশাসক ড: আমিনুর রহমান বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এবং সবাইকে বন্যার্তদের পার্শ্বে দ্বাড়ানোর আহ্বান জানান ।
    এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিব জানান,ঝুঁকি পূর্ণ স্থানে ব্যাপক নজরদারি রাখা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন ও পরিবারের তথ্য সংগ্রহে কাজ চলছে । এছাড়া ওই এলাকায় চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে । তাছাড়া বন্যা কবলিত লোকজনের জন্য জরুরি ভাবে ৩ মেট্রিকট্রন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে ।