ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছিনিয়ে বর্বর কায়দায় হত্যা !

    0
    219
    কথিত ধর্ষন মামলার বাদিনী ও বর্বর হত্যার খণ্ড চিত্র
    কথিত ধর্ষন মামলার বাদিনী ও বর্বর হত্যার খণ্ড চিত্র

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৭মার্চঃ জেল ভেঙে সাজানো কথিত ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে বর্বর কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডের বিক্ষুব্ধ নাগা জনতা। গত বৃহস্পতিবার রাতে নাগাল্যন্ডের রাজধানী ডিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের দুটি ফটক ভেঙে শরিফ খান নামের ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায় কয়েক হাজার নাগা জনতা।৭ কিলোমিটার রাস্তা মোটর সাইকেলের সাথে উলঙ্গ করে বেঁধে চেচরিয়ে নিয়ে আসা হয়,এ অবস্থায় তাকে ধারালো অস্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে, পাথর ছুড়ে,লাথি মেরে মধ্য যোগীয় কায়দায় তাকে লটকিয়ে জ্বালিয়ে হত্যা করে ডিমপুরের কেন্দ্রস্থল ক্লক টাওয়ারে টানিয়ে দেয়া হয়।

    পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শরিফ উদ্দিন খান আসাম থেকে আসা বাংলাভাষী মুসলমান। পুলিশের দাবি, কারারক্ষীরা সংখ্যায় কম থাকায় কিছুই করার ছিল না তাদের। এ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াং।

    মটর বাইকে টানিয়ে নিয়ে আসা নিতর দেহ।
    মটর বাইকে টানিয়ে নিয়ে আসা নিতর দেহ।

    খবরে বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে একাধিকবার মদ খেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন স্থানীয় এক কলেজ ছাত্রী। এরপর পুলিশ তাকে আটক করে কারাগারে রাখে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র জনতা। ধীরে ধীরে জনসমাগম বাড়তে থাকলে বিকালের দিকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এর একপর্যায়ে জোর করে কারাগারে ঢুকে ফটক ভেঙে শরিফকে ছিনিয়ে নিয়ে মারতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। মারতে মারতে নগ্ন করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিমপুরের কেন্দ্রস্থল ক্লক টাওয়ারের কাছে। পথেই মৃত্যু হয় শরিফের। পরে তার লাশ টানিয়ে দেয়া হয় ক্লক টাওয়ারে। এ সময় ‘জনতার বিচার’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার তীব্র নিন্দা করেছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ঘটনার পর ডিমাপুরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলো থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য এনে সতর্ক পাহারায় রাখা হয়েছে।

    উল্লেখ্য ভারতের নাগাল্যান্ডের বাংলা পত্রিকা সাময়িক প্রসঙ্গের খবর অনুযায়ী সেখানকার ডাক্তারী রিপোর্টমতে ধর্ষনের কোন আলামত মেয়েটির দেহে পাওয়া যায়নি।

    অপরদিকে স্থানীয় মুসলিমদের অভিযোগ শরিফের উন্নতি দেখে তার প্রতি হিংসা করে ওই মেয়েটিকে নাগা যুবকরা সাজিয়েছে এবং তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে শেষ পর্যন্ত  বাংলাভাষীদের দোকানপাঠ ও বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ব্যপক ক্ষতি সাধন করেছে নাগা যুবকরা।সুত্রঃদৈনিক সাময়িক প্রসঙ্গ।