ধর্ষকের শিকার শার্শার কিশোরী সোনিয়ার মৃত্যু

    0
    148

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০জুন,এম ওসমান: সভ্য সমাজের ! অসভ্য কীটের নির্ম২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে সমাহিত করা হয় যশোরের শার্শার রামপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের মিলন সরদারের মেয়ে।ম পাশবিক নির্যাতনের শিকার সেই কিশোরী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেছে সোনিয়া খাতুন (১৩)। তিন মাস মৃত্যুর সংগে লড়াই করে থেমে গেছে তার জীবন প্রদীপ। অবশেষে শনিবার রাতে কিশোরীর মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ তার পরিবার। রোববার দুপুরে যশোর

    শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, এপ্রিল মাসে ধর্ষণের শিকার হয় সোনিয়া। সে সময় তার মা বাদী হয়ে থানায় ‘ধর্ষক’ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। সে সময় পুলিশ ভুক্তভোগীর ডাক্তারী পরীক্ষাও করে। তবে যথাসময় ও ঘটনাকালীন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা করতে না পারায় ধর্ষণের আলামত মেলেনি।
    এদিকে, ঘটনার পর মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু আর সুস্থ হয়ে উঠেনি।
    রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য কবির হোসেন জানান, অভিযুক্ত মিলন ও সোনিয়াদের বাড়ি পাশাপাশি। মিলনের ভাবি সোনিয়াকে ঘরের মধ্যে তার (মিলন) জন্য খাবার পানি নিয়ে যেতে বলেন।

    এ সময় সোনিয়া পানি নিয়ে ঘরে গেলে মিলন তাকে জাপটে ধরে। এরপর ধর্ষণ করলে সোনিয়া অজ্ঞান হয়। এরপর জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত তিন চার ঘণ্টা ধরে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে কোনো রকম জ্ঞান ফিরলে তাকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে চোখে চোখে রাখেন মিলনের পরিবার। যাতে বাইরের কেউ বিষয়টি বুঝতে না পারেন।
    কিন্তু গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হলে তারা গ্রাম পর্যায়ে শালিস বৈঠক করার জন্য উদ্যোগ নেন। আর বৈঠকের দিন দুপুরে অভিযুক্তরা গোপনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শে গ্রামবাসী থানায় মামলা করেন। এসময় জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে এ খবর প্রকাশিত হয়।
    ইউপি সদস্য কবির হোসেন আরও বলেন, ধর্ষণের পর থেকে মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়। তাকে স্থানীয় বাগআঁচড়া ক্লিনিক, শার্শা উপজেলার নাভারণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এখানেও অবস্থার উন্নতি না হলে যশোর কুইন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সোনিয়ার জরায়ুতে ক্ষত হওয়ায় আর সেরে উঠেনি। ফলে বাড়িতে রেখে তাকে চিকিৎসা করানো হতো।
    এ বিষয়ে উলাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইনাল হক জানান, মেয়েটি একই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তারা তৎপর হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানায় মামলা হয়। ওই ঘটনার পর মেয়েটি আর সুস্থ হয়নি।