ধর্ষকের দাবিঃউচিত ছিল চুপ থেকে ধর্ষণ করতে দেয়া

    0
    224

    “ডিসকো বা বারে যাওয়া, এমনকি সঠিক পোশাক না পরা তাদের কাজ নয়”মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাসচালক মুকেশ,

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩মার্চঃ নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত তো ননই, বরং দিল্লির বাসের সেই ধর্ষক উল্টো বলছেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির নাকি লড়াই করা উচিত হয়নি।

    “ধর্ষিত হওয়ার সময় মেয়েটির প্রতিরোধ করা উচিত হয়নি। তার উচিত ছিল চুপ থেকে ধর্ষণ করতে দেয়া। তাহলে ধর্ষণ শেষে ছেড়ে দিতাম। শুধু সাথের ছেলেটিকে মারতাম”- দিল্লিতে একটি বাসে ধর্ষণের ওই ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাসচালক মুকেশ সিং এই মন্তব্য করেছেন একটি প্রামাণ্যচিত্রে।

    তথ্যচিত্রের নির্মাতা লেসলি উডউইন মন্তব্য করেছেন – মুকেশ সিংএর এসব কথা তার কাছে ‘ভয়ানক এবং হতবাক করার মতো’ বলে মনে হয়েছে।

    ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ২৩ বছর বয়সী মেয়েটি বন্ধুর সাথে ‘লাইফ অফ পাই’ সিনেমা দেখে বাসে করে ফিরছিলেন। বাসে একজন কিশোর বয়সীসহ আরও ছয়জন যাত্রী ছিলেন।

    তারা সবাই মিলে বন্ধুটিকে মারধর করে এবং প্রত্যেকেই ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর নৃশংসভাবে লোহার রড দিয়ে নির্যাতনও করে তারা।

    আর তিনজনের সাথে মুকেশ সিংও তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

    প্রতিবাদ

    ওই ঘটনা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের সময় দেয়া এক সাক্ষাতকারে মুকেশ সিং আরো কিছু মন্তব্য করেছেন যা সত্যিই বিস্ময়কর।

    তিনি বলেছেন, “কোন ভদ্র মেয়ে রাত নয়টায় বাইরে ঘোরাঘুরি করেনা”।

    তার কথায়, “ধর্ষণের জন্য পুরুষের জন্য নারীই বেশি দায়ী”।

    যদিও ভারতের সংবিধানে নারীর সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে তবে মুকেশের দাবি ভিন্ন।

    তার মতে, “নারীরা শুধু ঘর সামলানোর কাজ করবে। ডিসকো, বারে যাওয়া এমনকি সঠিক পোশাক না পরা তাদের কাজ নয়”।

    মুকেশের দাবি, মৃত্যুদণ্ড মেয়েদের জন্যই ক্ষতিকর হবে।

    “তাহলে কেউ ধর্ষণ করে ফেলে যাবেনা। মেয়েটিকে মেরেও ফেলবে। না হলে হয়তো সে ধর্ষণের পর ছেড়ে দিতো, বলতো যেন মেয়েটি কাউকে ঘটনাটি না জানায়”।

    যদিও ভারতের সংবিধানে নারীর সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তবে মুকেশের দাবি ভিন্ন।

    তার মতে, “নারীরা শুধু ঘর সামলানোর কাজ করবে। ডিসকো বা বারে যাওয়া, এমনকি সঠিক পোশাক না পরা তাদের কাজ নয়”।

    ওই ঘটনা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের সময় দেয়া এক সাক্ষাতকারে মুকেশ সিং আরো কিছু মন্তব্য করেছেন যা সত্যিই বিস্ময়কর।

    তিনি বলেছেন, “কোন ভদ্র মেয়ে রাত নয়টায় বাইরে ঘোরাঘুরি করেনা”।

    তার কথায়, “ধর্ষণের জন্য পুরুষের জন্য নারীই বেশি দায়ী”।

    যদিও ভারতের সংবিধানে নারীর সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে তবে মুকেশের দাবি ভিন্ন।

    তার মতে, “নারীরা শুধু ঘর সামলানোর কাজ করবে। ডিসকো, বারে যাওয়া এমনকি সঠিক পোশাক না পরা তাদের কাজ নয়”।

    মুকেশের দাবি, মৃত্যুদণ্ড মেয়েদের জন্যই ক্ষতিকর হবে।

    “তাহলে কেউ ধর্ষণ করে ফেলে যাবেনা। মেয়েটিকে মেরেও ফেলবে। না হলে হয়তো সে ধর্ষণের পর ছেড়ে দিতো, বলতো যেন মেয়েটি কাউকে ঘটনাটি না জানায়”।

    যদিও ভারতের সংবিধানে নারীর সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তবে মুকেশের দাবি ভিন্ন।

    তার মতে, “নারীরা শুধু ঘর সামলানোর কাজ করবে। ডিসকো বা বারে যাওয়া, এমনকি সঠিক পোশাক না পরা তাদের কাজ নয়”।বিবিসি