দ্য রিপোর্টের সংবাদ প্রতিক্রিয়া:কুকুরের কাজ কুকুর করেছে….  

    0
    236

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬এপ্রিল,ইজ্জত আলী : কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়’ কুকুরের পায়ে কামড় দেয়া কি মানুষের শোভা পায় ?

    কবিতার এই পংথিটি আজও আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে ভালো আর মন্দকে বোঝানোর জন্যই। কুকুরের চিরাচরিত স্বভাব অহেতুক পথচারির পায়ে কামড় দেয়া। তা না হলে কি তার কুকুরত্ব থাকে ?

    এমনই এক কুকুরের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে ‘দ্য’ রিপোর্ট নামে একটি অখ্যাত অনলাইন নিউজ পোর্টালে। যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতীজঙ্গিদের মুখপত্র ‘দ্য রিপোর্টের কথিত সাংবাদিক এককালের শিবির ক্যাডার ‘বিখান’ কুকুরের চেয়েও অধম বলে প্রতীয়মান হয়েছে তার লেখা সংবাদে।  অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালিকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়েশন (বনপা)এর বিরুদ্ধে সে কুৎসা রটনা করেই খ্যান্ত হয়নি ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাপ্তাহিক বিষেরবাঁশী পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক, দৈনিক আমাদের সময়ের ষ্টাফ রিপোর্টার ও বিজয় নিউজ টুয়েন্টটিফর ডটকমের সম্পাদক শামসুল আলম স্বপনকে সমালোচনা করে কুকুরের স্বভাব সুলভ কাজটিই করেছে।

    তার চেয়ে বেশী কুকুরত্ব ফলিয়েছে বাঘা নিউজ ২৪ ডটকমের সম্পাদক বনপা’র রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভান্ডারীর বিরুদ্ধে অনুরূপ মনগড়া মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ লিখে। সেলিম ভান্ডারী জানিয়েছেন দ্য রিপোর্টের  কারো সাথে তিনি কোন বিষয়ে কোন দিনই কথা বলেননি । অথচ তার বিরুদ্ধে বিখান নামের  আইডি কার্ড সবর্স্ব সাংবাদিক লিখে দিলো সেলিম ভান্ডারী তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়েছে। কুকুরের যা কাজ ! মিথ্যা ঘেও ঘেও না করলে খাদ্য হজম হয়? বাহ্ কি দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা? গালি খাওয়ার কাজটি করলে তো মানুষ গালি দেবেই ।

    দ্য রিপোর্ট নামের নাম সর্বস্ব নিউজ পোর্টালের মালিক সম্পাদক সাংবাদিকদের বলতে চায়, যে দিন সরকার অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে নীতিমালা নামের ভীতিমালা চাপিয়ে দিয়েছিল সেদিন আপনারা কেন লেজ গুটিয়ে বসেছিলেন? সেদিন তো কোন প্রতিবাদ করেননি। সেদিন যদি শামসুল আলম স্বপন বনপা সৃষ্টি করে আন্দোলনের ডাক না দিতেন তা হলে আপনাদের বাঁকা লেজ ঘুরে কোথায় যেত বলা মুশকিল। বনপার সভাপতি বিনামূল্যে পোর্টাল রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করে তিনি কি মহা অপরাধ করেছেন? তার সমালোচনা নয় বরং তাকে স্যালুট করে আপনাদের চরিত্র শুধরে নেয়া উচিৎ।

    বর্তমান জনপ্রিয় সরকারের সফল তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু । তিনি যদি অনলাইন নিউজ পোর্টালের পক্ষে অবস্থান না নিতেন তা হলে হয়তো ইতো মধ্যেই বন্ধ হয়ে যেত অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল । মিডিয়া বান্ধব তথ্যমন্ত্রী ও জনপ্রিয় সরকারকেও ওই কুকুরেরা সমালোচনা করতে দ্বিধা করেনি। করবেই বা না কেন? ওদের তো সহ্য হবার কথা নয়। সরকারের জনপ্রিয়তা ওদের কাছে জুতারবাড়ি সমতুল্য।

    দ্য রিপোর্টের গাত্রদাহের কারণ হলো ওরা যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত শিবিরের মুখপত্র । ওদের কাজ সরকারের পক্ষে থাকা মানুষ গুলোর ছিদ্রান্বেষণ করা। কিন্তু ওদের যে বড় বড় ফুটো রয়েছে তার কোন খেয়ালই ওদের নেই।

    এ্যক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে সমালোচনা করেছে ওরা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সচিবালয়ের জনৈক কর্মকর্তা জানিয়েছেন ওরা এ্যক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে সচিবালয়ে ঢুকে তদ্বীর বাণিজ্য নিয়েই ব্যস্ত থাকে। অনলাইন নিউজ পোর্টালের আর কোন সম্পাদক/সাংবাদিক এ্যক্রিডেশন কার্ড পাক তা ওরা চায় না।

    এটা শতসিদ্ধ যে, কুকুরের বিরুদ্ধে যতই লেখা যাক না কেন তাতে ওদের বাঁকা লেজ সোজা করা যাবে না। ওই জন্য দরকার মুগুর ।

    আরো জানা গেছে সরকার বিরোধী ওই কুকুরেরা নাকি আরেকটি সংগঠন তৈরী করে জনপ্রিয় সরকারের বিরুদ্ধে জোরে সোরে ঘেউ ঘেউ করার ষড়যন্ত্র করছে। তার আগেই ওদের বিষদাত ভেঁঙ্গে ফেলতে হবে। আমি জেনেছি বনপা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই কুকুরদের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় মামলা করার। আমি বনপা’র সভাপতিকে মামলা না করার অনুরোধ জানিয়ে বলবো কুকুরের কাজ কুকুর করেছে…………