দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন তাহিরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির

    0
    234

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪মে,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃ গত ১০ মে রোববার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২য় পৃষ্টার ১-৩ নং কলামে “মানব পাচারকারীদের খপ্পরে সুনামগঞ্জের দরিদ্র যুবকরা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের একাংশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় গ্রামের বাসিন্দা এবং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও তাহিরপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আলম সাব্বির।

    তিনি বলেন,প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে,“তাহিরপুরের লাউড়েরগড় গ্রামের চিহ্নিত মানব পাঁচারকারী ও চোরাচালানী এবং মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবী আলম সাব্বিরসহ একটি চক্র বেশী বেতন ভাতা এবং বেশী সুবিধা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে হতদরিদ্র পরিবারের যুবকদের ফাঁদে ফেলে”। প্রকাশিত এ সংবাদের অংশবিশেষে ব্যাবহৃত বাক্যটির ৩৪টি শব্দের সাথে তিনি ভিন্নমত পোষনসহ চ্যালেঞ্জ করেন।

    ব্যাক্তিগত আক্রোশে যুগান্তর প্রতিনিধি হাবিব সরোয়ার আজাদ প্রকাশিত ঐ সংবাদটিতে অসদুদ্দেশ্যে তার নাম জড়িয়েছে। তিনি ব্যাক্তিগতভাবে মানব পাচারকারী ও চোরাচালানী,মাদকবিক্রেতা ও  মাদকসেবী কোনটাই নন। বরং হাবিব সরোয়ার আজাদই একজন চিহ্নিত মদ্যপায়ী, হেরোইনসেবী,হেরোইন বিক্রেতা,আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাবসায়ী,পুলিশ বিজিবির সোর্স হিসেবে এলাকায় ব্যাপকভাবে পরিচিত। সে আলম সাব্বিরের একজন জুনিয়র সংবাদকর্মী। সিনিয়র আলম সাব্বিরের হাত ধরেই হাবিব সরোয়ার আজাদ সাংবাদিকতার দীক্ষা নেয় যা সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুরের সকল সাংবাদিকেরা অবগত আছেন।

    হাবিব সারোয়ার আজাদ একজন শিশু বলৎকার ও সীমান্তের চিহ্নিত চোরাচালানী,চাঁদাবাজ। সম্প্রতি আজাদের বিরুদ্ধে ৩টি চাঁদাবাজীর মামলা হয়ে। চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দুইবার গণধৌলায়ের শিকার হয়েছে। এছাড়া সে তার শিশুপুত্র শিহাবকে দূর্নীতিবাজ ও বির্তকিত এসআই জামালের পরামর্শে অগ্নিদাহ করে এঘটনায় তাহিরপুর থানায় তার প্রতিপক্ষীয় সাংবাদিক মাইটিভি ও দৈনিক মানববন্ঠ পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল আলম ভূইয়ার উপর এসিড আইনে সাজানো মামলা করে এবং ঐ মিথ্যা মামলায় এসআই জামালকে দিয়ে মিথ্যা চার্জসীট করিয়ে অন্যায়ভাবে একজন নিরীহ ও নিরপরাধ সাংবাদিককে হয়রানী করায় তাহিরপুর উপজেলার সকল সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব থেকে আজাদকে বর্জন করলে সে সকলের উপর আক্রোশান্বিত হয়ে নানাভাবে চক্রান্ত ও হামলা-মামলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং আজাদের পক্ষ নিয়ে মিথ্যা ও সাজানো এসিড মামলা দায়ের করাসহ সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগে বির্তকিত এসআই জামালকে তাহিরপুর থানা থেকে প্রথমে সুনামগঞ্জ ডিবিতে,তারপর ঢাকা ডিএমপিতে বদলি করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

    এরই ধারাবাহিকতায় ঐ সংবাদে আলম সাব্বিরকে অন্যায়ভাবে জড়িত করে। সাংবাদিক আলম সাব্বির এহেন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন-জরুরী ভিত্তিতে সীমান্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী,চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ২বার গণধৌলাই খাওয়া শিশু বলৎকার আজাদকে আইনের আওতায় নিয়ে এলাকার সাংবাদিক সমাজকে রক্ষা করাসহ নিরীহ মানুষকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোরদাবী জানাচ্ছি।