দেশে নতুন রেকর্ড গড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা

    0
    225

    দেশে নতুন রেকর্ড গড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২০ হাজার ছুয়েছে ডেঙ্গু রোগী। সবেমাত্র ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরইমাঝে ৬৪ জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর সরকারি জেনারেল হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের উপচে পড়া ভীড়। ওয়ার্ডের মেঝে, করিডোর ছাপিয়ে বারান্দাতেও জায়গা করে নিয়েছে রোগী। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা। বাড়তি তাদের পালন করতে হচ্ছে তাদের। এরইমধ্যে বাতিল করা হয়েছে ঈদের ছুটি।

    সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ। সেবার মান ভাল হওয়ায় ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেবিন.. ফাঁকা নেই কোথাও। আবার অনেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, অনেকে ভালো হওয়ার পথে। প্লাটিলেট ৩০ হাজারের নীচে নেমে না এলে, বাড়িতেই ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    এদিকে রাজধানীর বাইরে ৬৪ জেলাতেই ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। সবশেষ নেত্রকোনাতেও ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষা-নীরিক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব, লোকবল ও আসন সংকটসহ নানা কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। কিন্তু প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু প্রার্দূভাবের প্রথম বছর ২০০০ সালে রোগী ছিল ৫ হাজার ৫৫১জন। ২০১৮ সালে আক্রান্ত হয় ১০ হাজার ১৪৮ জন, যা আগের যে কোন সময়ের সর্বোচ্চ। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এমনটাই জানালেন কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার।

    এদিকে, রাজধানী জুড়ে চলছে এডিশ মশা নিধন, পরিচ্ছন্নতা আর সচেতনতা কার্যক্রম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকনের দাবি অনুযায়ী, ১১টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুমুক্ত আছে। বাকি ওয়ার্ডগুলোতেও কাজ চলছে। সবার সহযোগিতায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার আশা জানান তিনি।

    আর সোমবার থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মশক কর্মীদের জিপিএস সিস্টেমে আনার কথা জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজ (শুক্রবার) রাজধানীর উত্তরার নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

    প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করে স্ক্যানিং করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে দশজন করে মশক কর্মী কাজ করছে। সোমবার থেকে বেশিরভাগের সঙ্গে জিপিএস ট্র্যাকার থাকবে। তাই মশক কর্মীদের কাজ নিয়ে আর সন্দেহের সুযোগ থাকবে না। তারা কোথায় কোথায় কাজ করছে তা তাৎক্ষণিক জানা যাবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টিতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চান মেয়র আতিকুল ইসলাম।পার্সটুডে