দেশের রিজার্ভ ১৯বিলিয়ন ডলারের উপরে

    0
    232

    আমারসিলেট24ডটকম,ফেব্রুয়ারীঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যা পাকিস্তানের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা রিজার্ভ বাড়ার ক্ষেত্রে মূখ্য অবদান রেখেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রয়ি ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ এ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান।এদিকে কাজী ছাইদুর রহমান জানান, আজ বুধবার দিন শেষে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভের এ মাইলফলক অতিক্রম করলো।

    এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৭ মাসের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমানি বিল পরিশোধের আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের উপরেই থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।এদিকে ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। গতবছরের ৭ মে তা ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। আর গত ১৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয় ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান রিজার্ভ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থায় রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ভারতের রিজার্ভ ২৭৫ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ১০ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একটি দেশের হাতে অন্তত ৩ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর মতো বিদেশী মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১২৫ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর চলতি ফেব্র“য়ারি মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে এসেছে ৬৫ কোটি ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স।

    অবশ্য অর্থবছরের সাত মাসের হিসাবে গতবারের চেয়ে এ অর্থবছরে ৮ শতাংশ কম রেমিট্যান্স এসেছে। তবে এ সময়ে রফতানি আয় বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ বলে জানা যায়।