দেশীয় মদের পাট্টা অপসারনের দাবীতে ৩০ মে জৈন্ত্মাপুরে সমাবেশের ডাক

    2
    258

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪এপ্রিল,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ সিলেটের জৈন্ত্মাপুর উপজেলা সদরের কোমলমতি শিক্ষার্থিী যুব সমাজের অবÿয়রোধ ও একধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবেষ্ঠিত এলাকা থেকে দেশীয় মদের দোকান(পাট্টা) অপসারনের জন্য নির্বাহীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে। প্রশাসন যন্ত্র অর্থের কাছে জিম্মী থাকায় বীরদর্পে দেশীয় মদের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে বীরেন্দ্র কুমার নাথ। কোমলমতি শিÿার্থী যুব সমাজের অবÿয়রোধ মদের পাট্টাটি আগামী ২মাসের মধ্যে উপজেলা সদরে থেকে অপসারন না হলে আন্দোলনে নামবে ধর্মপ্রাণ মুসলিস্নরা।

    এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলিস্নরা জানান- উপজেলা সদরে বীরেন্দ্র কুমার নাথ লালাখাল চা-বাগান এলাকায় বাগানি সম্প্রদায়ের লোকজনদের মধ্যে দেশীয় পদ্ধতীতে তৈরী মদ বিক্রয়ের অনুমতি নিয়ে জৈন্ত্মাপুর উপজেলা সদরে সন্নিকটে ব্যবসাটি পরিচালানা করছে। বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের জন্য এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে আসলে বীরেন্দ্র কুমার নাথ অর্থের বিনিময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ সংশিস্নষ্ট উপজেলা প্রশাসনের সাথে লিয়াজো করে বীরদর্পে মদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। পাট্টার কারনে কোমলমতি শিশু শিÿার্থী সহ যুব সমাজ মারাত্বক হারে অবÿয়ের দিকে পা-বাড়িয়েছে। পাট্টাটি উপজেলা সদরের কেন্দ্র বিন্দুতে হওয়ার ফলে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত্ম হতে মাদকসেবীরা আড্ডা জমে থাকে। মাদকেসেবীদের হাতে বিভিন্ন সময় স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। পাট্টা থেকে মদ নিয়ে মাদকসেবীরা সন্ধ্যা হলেই জৈন্ত্মাপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ ডাক ও তার অফিস, রাজবাড়ী ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্রের মোকামটিলা, উজানীনগর ঝর্ণাটিলা এলাকায় মদের জমজমাট আসর বসে। মাদকসেবীদের উৎপাতে অতিষ্ট হতে হচ্ছে সাধারণ পথচারিদের। মাদকসেবীদের আত্মংক উৎকন্ঠার মধ্যে কোমলমতি শিÿার্থীরা যেতে হচ্ছে স্কুল কলেজে।

    পাট্টা বন্ধের জন্য ১৭পরগনার সালিশ সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজ উদ্দিন আহমদ, জৈন্ত্মাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, জৈন্ত্মাপুর উপজেলার ঐহিয্যবাহী চৌধুরী পরিবারের সদস্য আখলাকুল আম্বিয়া চৌধুরী, বিভিন্ন শিÿা প্রতিষ্ঠানের ৫শতাধীক ছাত্র/ছাত্রী সহ হাজারের বেশী স্বাÿরযুক্ত স্বাÿরলিপি তৎকালীন নির্বাহী অফিসার রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান করা হয়। তৎকালীন নির্বাহী অফিসার স্বাÿরিত ১৮ মে ২০১৪ইং তারিখের স্মারক নং- জৈউনিঅ/বিবিধ/২০১৪/২৫৫(৬) জৈন্ত্মাপুর উপজেলাস্থ মদের লাইসেন্স নং-১৭৮-৭(সিলেট) বাতিল সহ লাইসেন্স ধারীর বিরম্নদ্ধে শাস্ত্মিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সিলেটে প্রেরন করা হয়। বিষয়টি দ্রম্নত প্রদÿেপ গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের (সীমান্ত্ম শাখা) সহকারী কমিশনার মামুনুর রহমান গত ২৪ জুন ২০১৪ইং তারিখে স্মারক নং-০৫.৬০.৯১০০.০১৯.৩৩.০০৪.১৩-১৭৭(২) উপ-পরিচালক মাদক দ্র্যব্য অধিদপ্তর সিলেটকে “জৈন্ত্মাপুর উপজেলাস্থ মদের লাইসেন্স নং-১৭৮-৭(সিলেট)” বাতিল সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের বলা হয়। আজবদি এই লাইসেন্সের বিষয়ে প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল কিংবা শাস্ত্মিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। সম্প্রতি দৈনিক সবুজ সিলেট ও দৈনিক উত্তরপূর্ব সহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে অনুসন্ধানি রির্পোট প্রকাশের পর বর্তমান নির্বাহীর অফিসারের বক্তব্যে ÿিপ্তহন উপজেলার সর্বস্ত্মরের ধর্মপ্রাণ মুসলিস্নরা। এদিকে জৈন্ত্মাপুরের মদেরপাট্টা অপসারনের দাবীতে সর্বস্ত্মরের ধর্মপ্রাণ মুসলিস্নদের জরম্নরী বৈঠকে আগামী ৩০ মে ২০১৫ইং তারিখের মধ্যে পাট্টাটি অপসারনের দাবী জানান, এবং ৩০ মে জৈন্ত্মাপুর উপজেলা সদরে বিÿোভ সমাবেশের ডাক দেন।

    এবিষয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিস্নদের পÿে আখলাকুল আম্বিয়া চৌধুরী (০১৭১২৭৬৯৪৭৫) বলেন- আমরা মদের পাট্টা অপসারনের জন্য শান্ত্মিপূর্ণ ভাবে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে লিখিত আবেদন করে যখন কোন প্রদÿেপ নেওয়া হয়নি তখন বাধ্য হয়ে আগামী ৩ শে মে বিÿোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছি। বিÿোভ সমাবেশ থেকে পরবর্তি কমসূচী গ্রহন করা হবে।

    এব্যাপারে বীরেন্দ্র কুমার নাথ বলেন (০১৯১৭২৪৯৫০১) আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখে আমার কিছুই করতে পারবেন না কারন উপরমহলের আমার হাত রয়েছে। লাইসেন্সের মাধ্যমে শত বৎসর থেকে মদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি আর করব। এলাকাবাসীর দাবী অযৌতিক, বিষয়টি লাইসেন্স বাতিলের বিষয় কর্তৃপÿ খতিয়ে দেখবে, এলাকাবাসী নয়। এ বিষয়ে কিছু করতে বা লিখতে হলে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপÿের সাথে কথা বলেন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ খালেদুর রহমানের মোবাইল (০১৭৩০-৩৩১০৩৭) ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। অফিসার ইনচার্জ গোলক চন্দ্র বসাক জানান- এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেÿিতে মদের পাট্টা বন্দের বিষয়ে উর্দ্বতন কর্তৃপÿের কোন নির্দেশ আসেনি। নির্দেশ পেলে আমরা পাট্টা বন্দ্রের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। আমি জৈন্ত্মাপুরে যোগদানের পর থেকে মাদক নিমূলে উপজেলায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছি।