দূর্নীতি নিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

    0
    136

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫জুলাই,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃ সুনামগঞ্জ জেলার উন্নয়ন বঞ্চিত তাহিরপুরে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়ম,দূর্নীতি ও প্রকল্প আত্মসাৎ করা নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল লড়াই। একপক্ষ অন্যপক্ষে ঘায়েল করার জন্য দায়ের করেছেন পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ। সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত চাল,গম ও অর্থ অসহায় ও দুস্থ জনসাধারণের মাঝে সঠিক ভাবে বন্টন না করে ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করার ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত চলছে আভ্যন্তরীণ কোন্দল,দ্বন্দ ও সংঘাত। বর্তমানে এসব বিষয় নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকার জনসাধারণের মাঝে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়।

    দুই পক্ষের দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানায়, উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আনোয়ারপুর বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় থাকার পরও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার ব্যক্তিগত সুবিধার্থে নিজ দোকানঘরে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালানা করছেন। ইউপি সদস্যদের কোন মতামত না নিয়েই নিজের মনমত ভাবে প্রজেক্ট তৈরি করে তার নিজস্ব লোক দিয়ে নামমাত্র কাজ করে সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত টিআর,কাবিখা,কাবিটা ও কর্মসৃজন কর্মসূচির চাল কাজের আগেই কালো বাজারে বিক্রি করে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল বিতরণে সীমাহীন অনিয়ম করাসহ ওজনে কম দেওয়া হয়েছে। আর এসব অনিয়ম ও দূর্নীতি চলেছে দীর্ঘদিন যাবত।

    এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তার সকল অনিয়ম ও দূর্নীতির তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া,আব্দুল করিম,রেনু মিয়া,ইসমাইল আলী,আলী নেওয়াজ,কামরুল আলম, আবুল হোসেন,আবুল কাশেম,সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মনরুফা বেগম ও তাকলিমা খাতুন। এছাড়াও পরিষদের সদস্যদের সাথে চেয়ারম্যানের অসদাচরনের বিষয়েও রয়েছে গুরুতর অভিযোগ।

    অন্যদিকে মেম্মারদের দায়েরকৃত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক দাবী করে তার প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যানের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে পাল্টা একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন মুক্তিযোদ্ধা শামছুদ্দিন,আব্দুল কাদির,ঈমান আলী,মনিন্দ্র দাস, আমির উদ্দিন,আব্দুল জলিলসহ মোট ১০জন।

    এব্যাপারে ইউপি সদস্য বাবুল মিয়াসহ অন্যান্য সদস্যরা বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ট ভাবে তদন্ত করলেই তার সকল দূর্নীতির ঘটনা বেড়িয়ে আসবে,আমরা প্রশাসনের কাছে তার অন্যায়ের সুবিচার চাই।

    ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প ভাগভাটোয়ারা করে খেতে পারেনা বলেই আমার বিরুদ্ধে অহেতুক ষড়যন্ত্র করছে। তাছাড়া আমি আওয়ামীলীগ করি আর অভিযোগকারীরা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থক।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দায়েরকৃত পাল্টাপাল্টি অভিযোগগুলো জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হয়েছে,উপরের নির্দেশ পাওয়ার পর এব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।