দুবাইয়ে চাকরির নামে ২৫ দিন গণধর্ষণ

    0
    239

    আমারসিলেট24ডটকম,০৩ফেব্রুয়ারীঃ দুবাইয়ে মাসিক চার লাখ  টাকা মাইনের চাকরি। ফ্যাশন ডিজাইনার-এর। প্রস্তাবটা পেতেই লুফে নিতে দেরি করেননি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গোরেগাঁও-এর ২৭ বছরের তরুণী। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার! কিন্তু স্বপ্নের সেই  বাস্তবতা যে এভাবে দুঃস্বপ্নের আস্তাকুঁড়ে মুখ থুবড়ে পরবে, তা ভাবতেও পারেননি। বুঝতেপারেন নি ফ্যাশন ডিজাইনার-এর চাকরি-টা আসলে একটি টোপ। গোটাটাই দেহ ব্যবসার ফাঁদ। দুবাই পৌঁছে যখন বুঝলেন, তখন আর কিছু করার নেই তার। টানা ২৫ দিন ১৩ জন ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষিত হয়ে বহুকষ্টে দেশে ফিরেছেন ক্ষতবিক্ষত শরীরে। নিয়োগকর্ত্রী, বুটিক মালকিন অঞ্জলি বিনোদ কুমার দে ওরফে আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন পু্লিশে।
    পুলিশ সূত্রের খবর, একটি রিয়েল এস্টেট ফার্মের ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন তরুণী। ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্সের ডিপ্লোমাও রয়েছে তার। গত বছরের ১৩ মে এক বন্ধু ওই তরুণীর সঙ্গে অঞ্জলির আলাপ করিয়ে দেন। মুম্বাইয়ের খারে “মেমসাব” নামে একটি বুটিক রয়েছে অঞ্জলির। একই নামে দুবাইতেও একটি বুটিক রয়েছে বলে অঞ্জলি জানায়  ওই তরুণীকে। বলে সেই বুটিক দেখাশোনার জন্য একজন সহকারী ম্যানেজারের প্রয়োজন। তরুণীকে মাসে চার লাখ টাকা পারিশ্রমিকের প্রস্তাবও দেয়া হয়।
    ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন এত সহজে যে পূরণ হবে তা তরুণী ভাবতেও পারেননি। রাজি হয়ে যান অঞ্জলির প্রস্তাবে। ভিসা, টিকিটসহ দুবাই পৌঁছানোর জন্য অঞ্জলি ১০ লক্ষ টাকাও দেন। কিন্তু দুবাইয়ে পা রাখতেই তরুণীর পাসপোর্ট হোটেলে জমা রাখার যুক্তিতে বাজেয়াপ্ত করে নেয় অঞ্জলি। হোটেলের ঘরেই আলাপ করিয়ে দেয় “বন্ধু”দের সঙ্গে। তরুণীকে তিন হাজার দিরহামের বিনিময়ে দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টাও চলে। প্রতিবাদে  জোটে হেনস্তা। অঞ্জলি সাফ জানিয়ে দেয়, ২৫ বছর ধরে সে দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পুলিশে জানালে “ফল খারাপ” হবে। ৩ জুন প্রথম খদ্দেরের বিছানায় তুলে দেয়া হয় তরুণীকে। পরে ১১ জনেরও বেশি ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
    বহুকষ্টে অঞ্জলির কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে আইনজীবী অবিনাশ দুবে’র সহায়তায় খার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী। অভিযোগ জানিয়েছেন দুবাই পুলিশের সদর দফতরেও। হোটেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে সিসিটিভি, ফুটেজের দাবি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অঞ্জলির নামে দু’টি পাসপোর্ট রয়েছে। একটিতে নাম “অঞ্জলি আগরওয়াল”। অন্যটিতে “অঞ্জলি বিনোদ কুমার দে”। পুলিশ একটি পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। স্বাভাবিকভাবেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অঞ্জলি। তার পাল্টা দাবি, ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেই তরুণীর এসব নাটক। বলেছেন, পুলিশ তাকে স্রেফ থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল। কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। সমস্ত অভিযোগই মিথ্যে। খবর সংবাদ প্রতিদিন