দুবাইকে ভোট না দেওয়ায় বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ!

    0
    207

    আমারসিলেট24ডটকম,২৮ফেব্রুয়ারীঃ বাংলাদেশি  নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থান বা এমপ্লয়মেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসাসহ সব ধরণের  বাণিজ্যিক ভিসা প্রদান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করলো বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের ২য় বৃহৎ উৎস সংযুক্ত আরব আমিরাত। জানা যায়, মূলত ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০ ভেন্যু নির্বাচনের ভোট দেয়াকে ঘিরে সঙ্কটের শুরু।বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীর আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় ছিল বেশ কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, তুরস্কের ইজমির, ব্রাজিলের সাও পাওলো, রাশিয়ার একাতেরিনবার্গ ও থাইল্যান্ডের একটি শহর। সূত্রমতে, আমিরাত সরকার দুবাইকে নির্বাচিত করার জন্য বাংলাদেশের কাছে ভোট প্রত্যাশা করেছিল। বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নেয়ারও আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ দুবাইকে ভোট না দিয়ে রাশিয়ার পক্ষে ভোট দেয়। আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করছেন, এতে বাংলাদেশিদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে আমিরাত সরকার। এদিকে, এক্সপোর ভেন্যু নির্বাচনে ভোট দিলে বিপুল শ্রমিক নেয়া হবে, এই আশ্বাসে নেপাল দুবাইকে ভোট দিয়েছে। জানা গেছে, আমিরাত সরকার নেপাল থেকে আগামী ৩ বছরে ৩ লাখ শ্রমিক নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।অন্যদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে দুবাই নিজেদের বাণিজ্যিক সম্পৃক্ততাকে নানাভাবে গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ আরব আমিরাত। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে যেমন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন দুবাই হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা। এছাড়া কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ থাকা এ দেশের দরজা এখন বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য একেবারেই বন্ধ। এ পরিস্থিতির অবসানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।স্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নেপাল থেকে ইতিমধ্যে শ্রমিক নেয়া শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলটের শ্রমসচিব সুত্রে বলা হয় তিনি বলেন, আমরাও সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আরব আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, ইতিমধ্যে অনেকই চাকরি থেকে বিভিন্ন অজুহাতে বহিষ্কৃত হচ্ছেন। এদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে কাছে টানতেই এ সরকার আরব আমিরাতের শ্রম বাজারকে উপেক্ষা করে রাশিয়াকে ভোট দেয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে কেহ কেহ ধারনা করছে।দুবাই ও ইউএইর ভিসা প্রক্রিয়াকরণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ জানিয়েছে , গত নভেম্বর মাসের পর থেকে দুবাই তথা ইউএই সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে অতিমাত্রায় কড়াকড়ি আরোপ করতে থাকে। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হলে পরিস্থিতি এতটা জটিল হতো না।জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন রাজ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন।সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি আছেন এ দেশটিতে।