দুটি পাতা একটি কুড়ি শ্রমজীবী চা শ্রমিক

    0
    237

    পিন্টু অধিকারী মাধবপুর প্রতিনিধি : দুটি পাতা একটি কুড়ি ও সবুজ চা গাছের সঙ্গে চা শ্রমিকের মিতালী শত বছর ধরে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মন ও শরীরকে চাঙ্গা করে।

    হবিগঞ্জের মাধবপুরের ৫টি চা-বাগানের জীবনের করোনার ঝুঁকি মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা।দেশের বৃহত্তম মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের প্রতিটি শ্রমিকের ঘরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে একটি শ্লোগান উঠেছে”আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে” অনঅগ্রসর চা শ্রমিকদের করোনা ভাইরাস(কোভিড১৯) সম্পর্কে সচেতন করেছেন বাগান কর্তৃপক্ষ।

    চা উৎপাদনের পেছনের নিপুন কারিগর হলেন সহজ সরল চা শ্রমিকরা। এই হচ্ছে সুপেয় চায়ের মূল কথা।প্রতিদিন সকালে চায়ে চুমুক দিয়ে যে ক্লান্তি দূর হয় এর পেছনে যাদের ঘামশ্রম রয়েছে এ সব শ্রমিকদের জীবনমান এখনো দারিদ্রসীমার নিচে।

    বহু বছর আগে ব্রিটিশ শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের আগমন ঘটলেও এখন তারা এ দেশের নাগরিক তাদের সামাজিক রীতিনীতি ধর্ম, কৃষ্টি, কালচার, জীবনাচরণ, বর্ণ ধর্ম, কথা বলার ঢং, কাজের নিখুত বুনন আমাদের ঐতিহ্য ধারাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে।

    চা বাগানে বিভিন্ন গোত্রের লোকজন বসবাস করেন।

    এর মধ্যে উরিয়া, মুন্ডা, সাঁওতাল, ভুমিজ, উরাং, ভূঁইয়া, সবর, রেলী, তন্ত্রবায় গোত্রের লোকজন রয়েছেন। প্রত্যেক গোত্রের লোকজনের ধর্মীয় রীতিনীতি বিয়ে সাদী পুজা অর্চনায় রয়েছে নিজস্ব রীতিনীতি।

    বিনোদন প্রিয় শ্রমিকরা ছোট্টু কুঁড়ে ঘরে ছেলে সন্তান নিয়ে ঠাসাঠাসি করে কোনো রকমে জীবন চালায়। বড় কথা হচ্ছে নারী চা শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। চা বাগানের শ্রমিকরা কেউ অলস সময় কাটায় না।

    যাদের বাগানে কাজ রয়েছে তারা সকালে ঘুম থেকে বাড়ি ঘরের কাজ শেষে পায়ে হেঁটে দল বেঁেধ বাগানে যায়। অবিরাম দুটি পাতা একটি কুঁড়ি উত্তোলন করে এ কচি পাতা মাথায় করে কারখানা অথবা ট্রাক্টরে পৌঁছায়।