তীর খেলা পরিচালনা চক্রের আর ২ সদস্য আটক

    0
    197

    মূল হোতারা পুলিশের অধরা

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫জুন,রেজওয়ান করিম সাব্বির:জৈন্তাপুরে ভারতীয় তীর খেলা পরিচালনার দায়ে ২সদস্য আটক। মূল হোতারা এখন অধরা থাকায় জন মনে নানা প্রশ্ন? সচেতন মহলের দাবী অধরাদের আইনের আওতায় আসা।

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় উপজেলার মা-মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করে তীর খেলা পরিচালনা চক্রের ২সদস্য আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হল উপজেলা মাস্থিংহাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জুয়েল আহমদ(২৮), অপরজন হল মামুন আহমদ(৩০)।

    এদিকে তীর খেলা নিয়ে গত ২১মে সিলেটের কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর পর পুলিশ তাদেরকে ধরতে অভিযান পরিচালনায় নামে। এনিয়ে গত ১সাপ্তায় ৮জনকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু তাদেরকে আটক করলেও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে তীর খেলা পরিচালনা মূল হোতারা রয়েছে পুলিশের অধরা।

    যাদের নিয়ন্ত্রনে উপজেলা জুড়ে তীর খেলা পরিচালনা হয় তার হলেন- আলুবাগান, শ্রীপুর, আসামপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর, আবু বক্কর, শরিফ ও জুয়েল। জৈন্তাপুর বাজারের কয়েকটি স্থানে বিভক্ত হয়ে খেলাটি পরিচালনা হয়। তবে জৈন্তাপুর থানা সংলগ্ন বাট্টির দোকান নামক এলাকায় খেলাটি পরিচালনা করে দুলাল, শাহ-আলম, রুমিন, কাজল, লায়েছ, আব্দুল মালেক, রুমন।

    মাহুতহাটি এলাকায় খেলাটি পরিচালনা করে- সালা উদ্দিন, মনির, মাহুতহাটি নিজ বাড়ীতে বসে খেলাটি পরিচালনা করে আব্দুছ সোবহান ড্রাইভার। উপজেলা মা-মার্কেট এলাকায় দোকান খুলে খেলা পরিচালনা করে- রাশেল, জুয়েল, সোহেল(চাকমা), জামাল উদ্দিন। পুকুরপাড় মনু মাকেট এলাকায় খেলা পরিচালনা করে- প্রণয় বাবু ও খালিক। পূর্ববাজার সেড ঘর এলাকায় খেলাটি পরিরিচালনা করে- নুর, আলী, বেঙ্গুরা, মুহিব আলী, আজাদ, মাসুক, জমির আলী।

    যশপুর পয়েন্ট হারুনের দোকান এলাকায় খেলাটি পরিচালনা করে জাহাঙ্গীর, মানিক, নজু, লাল মিয়া, কামাল, মালিক। যশপুর নিজ বাড়ীতে বসে সরাসরি ভারতের অসিত বাবুর খেলাটি পরিচালনা করে শামীম। সারীঘাট বাজারে বসে খেলাটি রিচালনা করে- দিলাল ও যউতীশ বাবু, দরবস্ত ও চতুল বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রন করে-জুলফিকর আলী লেফ, তাজ উদ্দিন, জয়নাল, এনাম।

    এছাড়া উপজেলার শেষ্ঠ ভারতীয় তীর খেলা নিয়ন্ত্রন করীরা হল- সোবহান ড্রাইভার, জুলফিকর আলী লেফ, রুমিন, আব্দুল মালিক, শামীম, যউতীষ বাবু ও আবু বক্কর। তারা উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪শত তীর খেলার বই বিক্রয় করে প্রায় কোঠি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

    এবিষয়ে প্রতিটি বাজার এলাকার সচেতন মহল মনে করেন- মরন খেলায় মেতে উঠে অনেক নামী দামী পরিবার সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাই যত দ্রুত এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এনে এবং ভবিষ্যতে যাতে না খেলতে পারে সেই ধরনের শাস্তি প্রদানের জোর দাবী জানান।

    অফিসার ইনচার্জ গোলক চন্দ্র বসাক বলেন- আমি চক্রটি র্ধ্বংসের জন্য এক রকম জেহাদ শুরু করেছি। যাতে যত দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়। প্রতিদিন তাদেরকে ধরার জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।

    সামাজিক ভাবে ব্যক্তি, সংস্থা ও এলাকার গন্যমান্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে খোলাটি আর দ্রুত বন্ধ করা যাবে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ চলছে। অভিযান অভ্যাহৃত থাকবে।