তিস্তা ও স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

    0
    223

    আমারসিলেট24ডটকম,নভেম্বরঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মোদী শেখ হাসিনাকে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি ও তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির দ্রুত সমাধানে তিনি জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুর স্থানীয় সময় আজ বুধবার বিকেল সোয়া ৩টায় দু’নেতার এ বৈঠক শুরু হয়। মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে তাদের মধ্যে এটি ছিল ২য় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ১ম দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি হয়েছিল। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
    ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধনের পর আজ বুধবার বিকেলে কাঠমন্ডুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় ঝুলে থাকা এ দুটি বিষয় নিয়ে নিজের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন মোদী। বিকালে ক্রাউন প্লাজা কাঠমান্ডু- সোয়ালটিতে ২ সরকার প্রধানের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি জানান, ল্যান্ড বাউন্ডারি ও তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কি অগ্রগতি হয়েছে তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন শেখ হাসিনা। জবাবে মোদি বলেছেন- এটা তাড়াতাড়ি সমাধানের জন্য তিনি জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। মোদি এও বলেছেন, এ বিষয়ে একটা কনসেনসাস গড়ে উঠছে। শিগগিরই সুরাহা হবে বলে আশাবাদী তিনি।
    শহিদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থল সীমান্ত চুক্তি (এলবিএ) ও তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ঝুলে থাকা দু’টি বিষয়ের সমাধানে তিনি জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয় ভারতে ঐক্যমত তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে এ ইস্যুগুলোর সমাধানে তিনি তার জোরালো আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে এ ধরনের জরুরি ইস্যুগুলোর সমাধানের ব্যাপারেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
    মোদী বলেন, স্থল সীমান্ত চুক্তির বিষয়ে অচিরেই একটি রিপোর্ট পেশ করা হবে এবং এটি গৃহীত হবে। তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টির সমাধানেও আলোচনা চলছে। ২ নেতা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একত্রে কাজ করার ব্যাপারে তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের দিক থেকে কোনো সমস্যা না থাকলেও ভারতের অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্যের কারণে দুটি বিষয়ই দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।
    হোটেল সলটিতে নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও বেলা ৩টা ৫০মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, ৪টা ৪০ মিনিটে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবং ৫টায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। সন্ধ্যায় সার্ক নেতাদের সম্মানে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। এর আগে ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কাঠমান্ডু পৌঁছান শেখ হাসিনা। একই দিন দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কাঠমান্ডু পৌঁছান।