তাহিরপুর হত্যাকাণ্ডে ৮ জনকে আসামি করে মামলা

    0
    241

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সুনামগঞ্জের তাাহিরপুর উপজেলায় গরু জমির ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাত ভাইয়ের হাতে নিহতের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের বড় ভাই নবী হোসেন বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে শনিবার সকালে তাহিরপুর থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১০,তারিখ-২৮,০৩,২০২০।
    নিহত আবু হানিফ শিকদার (৩২) উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ইছবপুর গ্রামে মৃত নেকবর আলী শিকদারের ছেলে।
    ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতে লাশ ইছুবপুর গ্রামে নিয়ে আসলে তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজন আহাজারিতে হ্নদয় বিধায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে নিহতের লাশ ইছুবপুর নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আতিকুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ঘটনার পর পর তাহিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলার দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
    উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার ইছবপুর গ্রামের আবু হানিফ (৩২)তার একটি পালিত গরু নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ির পিছনের জলার হাওর থেকে জমির আইলপথ দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসছিল। এসময় আবু হানিফ শিকদারের আপন চাচা লায়েছ শিকদার এর ছেলে মনির শিকদার(২৮)তার ভাই হাবিবুর রহমানের জমির ধান গরু খেয়েছে বলে দু-জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপ্রর্যায়ে দুপক্ষের  আঁটত                                                                                    স্বজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষে জরিয়ে পড়ে। এতে আবু হানিফ গুরুতর আহত হলে তার আত্নিয়-স্বজনরা আবু হানিফকে বাদাঘাট বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে শুক্রবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু হানিফার মৃত্যু হয়। পরে সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই অঞ্জন সরকার সদর হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করেন। হানিফের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে লায়েছ শিকদারের ছেলে হাবিবুর শিকদার,তার ছেলে রাজু শিকদার(২০),তানবির শিকদার ও হাবিবুরের ভাই মনির শিকদারসহ তার আত্মীয় স্বজনরা পলাতক রয়েছে।