তাহিরপুর সীমান্তে হচ্ছে ওপনে চোরাচালান:মদ ও বিড়ি আটক

    0
    347

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪সেপ্টেম্বর,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃসুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্ত চোরাচালানীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে চানপুর,লাউড়েরগড়,টেকেরঘাট,বালিয়াঘাট,বাগালী ও চাঁরাগাঁও সীমান্ত দিয়ে অবাধে মদ, গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা,নাসির উদ্দিন বিড়ি,চুনাপাথর,কয়লা,কাঠ ও অস্ত্র পাচাঁর হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার ভোরে চানপুর সীমান্তের ১২০২এর ৬এস পিলার সংলগ্ন বারেকটিলা এলাকা দিয়ে কামড়াবন্দ গ্রামের চোরাচালানী ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী আজাদ মিয়া,চানপুর গ্রামের মাদক মামলার আসামী আবু বক্করের নেতৃত্বে ভারত থেকে মদ ও বিড়ি পাঁচারের সময় ২লক্ষ ৩১হাজার ৫শত টাকা মূল্যের ১৪১বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েজ মদ ও নাসির বিড়ি আটক করে বিজিবি।

    কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করেনি। এছাড়া চাঁনপুর সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে ট্রলিতে করে অবাধে চুনাপাথর ও ঠেলাগাড়িতে করে কয়লা পাচাঁর করছে চোরাচালানীরা। পরবর্তীতে এসব কয়লা ও চুনাপাথার পানিতে ভেসে এসেছে বলে স্থানীয় ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা চোরাচালানের বিষয়টি থামাচাপা দিয়ে প্রতি ট্রলি চুনাপাথর থেকে ২শত টাকা ও প্রতি কয়লার বস্তা থেকে ১শত টাকা হারে চাঁদা নিচ্ছে বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী সম্্রাট মিয়া,আবু বক্কর ও জম্মত আলীকে দিয়ে। এরপর পাচাঁরকৃত কয়লা ও চুনাপাথার যাদুকাটা নদীর তীরে চোরাচালানী আব্দুল গফ্ফার ও ছিলাবাজারে মজুত করা হয়। একই ভাবে বড়ছড়া সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকার রহিমা মেম্বারের বাড়ির পিছন দিয়ে চোরাচালানী আব্দুল হান্নান,কাসেম মিয়া,আলী রহমান,নজরুল মিয়া,রমিজ মিয়ার নেতৃত্বে চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া বারুদখানা সংলগ্ন নদীর ঘাটে নৌকা বোঝাই করা। পরবর্তীতে বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারীরা চাঁদা নিচ্ছে বড়ছড়া বিজিবি ক্যাম্পের নামে।

    আর লাউড়েরগড় সীমান্তের দশঘর, পুরান লাউড়,উত্তর মুকশেদপুর এলাকা দিয়ে ঘোড়া,মদ,গাজা,বিড়ি ও হেরুইন পাচাঁর করে বিন্নাকুলি ও কামড়াবন্দ গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে নিয়ে মুজদ করা হয়। এছাড়া লাকমা,টেকেরঘাট ও লালঘাট,বাঁশতলা এলাকা চোরাচালানীদের জন্য কয়লা,কাঠ,মদ,গাজা, হেরুইন পাচাঁরের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিজিবি। যার ফলে লালঘাট সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানী জানু মিয়া ও রহিম উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গোহায় চাপা পড়ে ১ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এছাড়া লাকমা সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানী ইদ্রিস আলী,আবুল কালাম,আব্দুল হাকিম ভান্ডারীর নেতৃত্বে ভারত থেকে কয়লা আনতে গিয়ে গুহায় চাপা পড়ে ২জন ও যাদুকাটা নদীতে বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে।

    সম্প্রতি লাউড়েরগড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করতে গেলে ১শ্রমিককে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক গোলাম মহিউদ্দিন বলেন,চোরাচালান প্রতিরোধে জন্য সীমান্তে গিয়ে সভা-সমাবেশ করাসহ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে দেড়শত গজ দূরত্বে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। চোরাচালানের বিষয়ে আমার পক্ষ থেকে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা,চোরাচালানীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।