তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক ২বাংলাদেশী হাজতে

    0
    355

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০অক্টোবর,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক দুই বাংলাদেশী শ্রমিককে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আটককৃত বাংলাদেশীরা হলেন-উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়গড় গ্রামের ছাইতু মিয়ার ছেলে হক মিয়া(১৬) ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আলী হোসেন (১৫)।

    গত বুধবার রাত ৮টায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কয়লা শ্রমিকদের বিজিবির কাছে ফেরত দেয় ভারতীয় বিএসএফ। অনুষ্টিত পতাকা বৈঠকে ভারতে পক্ষে নেতৃত্ব দেন শ্রীলং ৭৩ ব্যাটালিয়নের ঘোমাঘাট ক্যাম্পের কমান্ডার এসআই সিরাজ লাল ও বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সুনামগঞ্জ ৮ব্যাটালিয়নের লাউড়গড় ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল মজিদ। দুই শ্রমিককে ফেরত দেওয়ার পর তাদেরকে থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।

    প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় চোরাচালানী আজাদ মিয়া,সাজ্জাদ,নুরু মিয়া,নবীকুল ও খাজা মইনুদ্দিন শতাধিক শ্রমিককে নিয়ে লাউড়গড় সীমান্তের ১২০৩নং পিলার সংলগ্ন যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁরের সময় বিএসএফ তাড়া করে আলী হোসেন ও হক মিয়া নামের দুইজন কিশোরকে ধরে নিয়ে যায়। আর বেশিরভাগ শ্রমিকরা নৌকা নিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

    সরকারের লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালানীরা দীর্ঘদিন যাবত অবাধে কয়লা,মদ,গাঁজা,নাসিরউদ্দিন বিড়ি, হেরুইন,ঘোড়া পাচাঁর করছে। কিন্তু বিজিবি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান,অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে আটককৃত দুই কয়লা শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য,লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে এরআগে বিএসএফের তাড়া খেয়ে পানিতে ডুবে ৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অর্ধশতাধিক লোক। এছাড়াও ভারতে চালান হয়েছে আরো অনেক শ্রমিক।

    এছাড়া চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাটে চোরাই কয়লার গুহায় চাপা পড়ে ১ যুবক ও বালিয়াঘাট-টেকেরঘাট সীমান্তের লাকমা চোরাই কয়লার গুহায় চাপা পড়ে ২জনে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।