তাহিরপুর সীমান্তে ঈদকে সামনে রেখে চোরাচালান বৃদ্ধি

    0
    256

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮জুলাইঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে ঈদকে সামনে রেখে বৃদ্ধি পেয়েছে চোরাচালান। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় উপজেলার চানপুর সীমান্তের যাদুকাটা নদী সংলগ্ন ছিলাবাজার থেকে ৭২হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ৪৮বোতল মদ আটক করেছে লাউড়েরগড় ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। অন্যদিকে চাঁরাগাঁও সীমান্তের কলাগাঁও বাজারের দক্ষিণে অবস্থিত আতালিবের বাড়ির সামনে থেকে ২টন অবৈধ চুনাপাথর  আটক করা হয়েছে।

    এছাড়া লাউড়েরগড় সীমান্তের বিন্নকুলী বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে ২৮হাজার টাকা মূল্যের ১,১২০প্যাকেট ভারতীয় নাসির উদ্দিন বিড়ি ও মাটিরাবন সীমান্ত গিলাগড় এলাকা থেকে ৪হাজার টাকা মূল্যের ১০০টি বাঁশ আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, বর্তমানে চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকার ৫০গজ ভারতের ভিতর থেকে এলাকার চোরাচালানী লাল মিয়া,কালাম মিয়া,সম্্রাট মিয়া,নাজমুল হক ও আবু বক্করের নেতৃত্বে অবাধে চুনাপাথর পাচাঁর করে ট্রলিতে করে যাদুকাটা নদীর তীরে অবস্থিত ছিলাবাজারে নিয়ে মজুদ করা হচ্ছে।

    পরবর্তীতে ওই নদী তীরে আব্দুল গফ্ফারের নেতৃত্বে তার পাথর ভাঙ্গানোর মিলে রেখে প্রতি ফুট চুনাপাথর ৬০টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসনিক কোন বাঁধা আসলে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় চোরাচালানীরা ওইসব চুনাপাথর পানিতে ভেসে বাংলাদেশে এসে বলে চালিয়ে দেয়।

    যার ফলে এখানে অবাধে চুনাপাথর পাচাঁর হচ্ছে। এব্যাপারে চানপুরের অবৈধ চুনাপাথর পাচাঁরকারী লাল মিয়া বলেন, শুধু আমাদের এখান দিয়েই পাথর পাচাঁর হচ্ছে না,খোজঁ নিয়ে দেখেন অন্যদিক দিয়েও ভারত থেকে পাথর আসছে। চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার জাহিদুল ইসলাম বলেন, এসব চুনাপাথর উপরের নির্দেশে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এলাকার নিরীহ মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ভারত থেকে বড় চুনাপাথর ভেঙ্গে এনে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত চোরাচালানীরা তাদের ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।

    সুনামগঞ্জ ৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক গোলাম মহিউদ্দিন অবৈধ মালামাল আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে কড়া নজরদারী রাখা হয়েছে,এব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।