তাহিরপুর উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসে লুটপাটের মহোৎসব

    0
    372

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হিসাব রক্ষন অফিসে সঠিক তদারকি না থাকায় যেন সরকারী টাকা লুটপাটের মহোৎসবে পরিনত হয়েছে। এই অফিসের দায়িত্বশীলরা নিজের মত করেই অফিসের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ দেখালেও কাজের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ভিন্ন রখম।

    নিজেরদের পকেটে সরকারী টাকা লুটপাটের মহোৎসবে পরিনত হয়েছে তারা নানান কৌশলে। আর এসব কাজে করছে তাহিরপুর উপজেলা হিসাব রক্ষন অডিটর জসিম উদ্দিন ও একাউন্স অফিসার আনোয়ার হোসেন। তারা দুজনেই সরকারী টাকা আতœৎসাধ করেই নিজেদের আখের গোছিয়েছেন।
    একাধিক সূত্রে জানাযায়,উপজেলা হিসাব রক্ষন অডিটর জসিম উদ্দিন তিনি র্দীঘ দিন ধরেই(প্রায় ২০বছর)এই উপজেলা কর্মরত থাকায় কারনে নিজের মত করেই সরকারী কর্মচারীদের কাছ থেকেই তাদের বিভিন্ন কাজ করার নামে হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা। সেই সাথে ভুয়া বিল ভাইচার তৈরী করে হাতিয়ে নিয়েছেন সরকারের লাখ লাখ টাকা। তার এই কাজের আরেক সহযোগী একাউন্স অফিসার আনোয়ার হোসেন নামেও রয়েছে নানান অনিয়মের এমনি অভিযোগ উঠেছে।
    জানাযায়,জসিম উদ্দন গত ৩মাস(জুলাই মাসে)পূর্বে হিসাব রক্ষন অফিসার তার নিজের বউ(প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা) এর জিপিএফ ফান্ড থেকে আড়াই লাখ টাকা টাকা ভুয়া কাগজ তৈরী করে উত্তোলন করে আতœসাৎ করা চেষ্টা করেন। পরে লোক জানাযানি হলে জসিদ উদ্দিন গত সেপ্টেম্ভর মাসের ১৮-১৯তারিখে সেই টাকা ব্যাংকে জমাদেন।

    এছাড়াও তিনি সরকারী কোন কর্মচারীর জিপিএফএ টাকা কম থাকলেও তিনি টাকা বেশী দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করার সুযোগ করেদেন অর্থের বিনিময়ে। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে উপজেলার সরকারী কোয়াটারে নিজের নামে বাসা বরাদ্ধ নিয়ে অবস্থান করলেও গত ৯মাস বাসা ভাড়ার না দিয়ে(প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা জমা না দিয়ে) এখনও অবস্থান করছেন।

    তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কোন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিতে চাইলেই ঘুষ দাবী করেন না দিলে কোন কাগজ পাওয়া যায় না। অফিসের সরকারী সোলার আনলেও নিজের বাসায় নিয়ে ব্যবহার করে। এছাড়াও রয়েছে নানান অভিযোগ। আর কাজের তার আরেক সহযোগী একাউন্স অফিসার আনোয়ার হোসেন। তিনিও সরকারী টাকা সুযোগ বুজে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

    তিনি গত ২৯,০৬,১৮ইং ১লাখ ৬৪হাজার নিজে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরী করে(বিদ্যুৎ বিল,টেলিফোন,আসবাবপত্র ইত্যাদি) আতœৎস্বার্ধ করেছেন। তিনি নিয়মিত অফিস না করেই তাহিরপুর,দিরাই আর দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে। এখন তিনি জামালগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত আছেন। নানান কৌশলেই সরকারী কর্মচারীদের ১ম,২য় টাইমস স্কেল পুরোনো কাজ করেন টাকার বিনিময়ে আর গড়েছেন টাকার পাহাড়। কিছু দিন পূর্বেও তিনি এক এসআইয়ের ভুয়া বিল তৈরী করেন টাকার বিনিময়ে।

    তিনি তার অধিনস্থ এক কর্মচারী ৩মাসের বেতন(দৈনিক ৪শত টাকা হারে ৩মাসের)না দিয়ে নিজেই আতœৎসাধ করছেন। এছাড়াও রয়েছে নানান অভিযোগ। এসব অভিযোগের বিষয়ে একাউন্স অফিসার আনোয়ার হোসেন উপজেলা হিসাব রক্ষন অডিটর জসিম উদ্দিন ২লাখ ৫০হাজার টাকা সরকারী ফান্ড থেকে উত্তোলন করেছিল এবং সেই টাকা পরে তার চেষ্টার আবার ব্যাংকে জমা দিয়েছেন তা স্বীকার করে বলেন,আমি যা করেছি সঠিক ভাবেই সরকারী কাজ করেছি। কোন দূর্নীতি করেনি।

    আমার সাথে স্থানীয় রা খারাপ ব্যবহার করেছে তা ত লিখেন নি। এখন আমার বিরোদ্ধে সংবাদ লিখবে আপনি যা জানেন লিখেন আমি আমার কতৃপক্ষের কাছে জবাব দিব। আর উপজেলা হিসাব রক্ষন অডিটর জসিম উদ্দিন তার বিরোদ্ধে,সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,একবার ভুলে টাকা উত্তোলন করছিলাম পরে তা আবার ব্যাংকে জমা দিয়েছি। আর র্দীঘ দিন তাহিরপুর উপজেলায় থাকায় সবার সাথে ভাল সর্ম্পক ছিল কিন্তু কোন দূর্নীতি করেনি। যারা আমার বিরোদ্ধে বলছে তা মিথ্যা। আমি বদলী হয়ে গেছি জামালগঞ্জ কয়েকদিনের মধ্যে চলে যাব।