তাহিরপুরে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে উত্যক্তের অভিযোগ

    0
    229

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩জুন,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীশিক্ষক  অনির্বাণ হালদার কর্তৃক তারই স্কুলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনাটি অবশেষে সালিশের মাধ্যমে হাতেপায়ে ধরে সমাধান দেওয়া হয়েছে। এঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় উপজেলার বাদাঘাট বাজারের বাদামপট্টিতে। স্থানীয়রা জানায়-গোপালগঞ্জ জেলা থেকে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে আগত হিন্দুধর্মীয় শিক্ষক অনির্বাণ হালদারকে গত ৪ মাস আগে বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী সুনিল সুক্রবৈধ্য তার বাড়িতে লজিং দেয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই লম্পট বিবাহিত শিক্ষক নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে বাড়ির মালিক সুনিলের ছোট বোন বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী নমিতা সুক্রবৈধ্যকে পাইভেট পড়ানোর নাম করে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে প্রতিদিন উত্যক্ত করতো।

    সম্প্রতি এবিষয়টি জানাজানি হলে ওই লম্পট শিক্ষককে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে এঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে লম্পট শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলে স্কুল কমিটির লোকজন এবিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে। এব্যাপারে স্কুলছাত্রীর বড়ভাই সুনিল সুক্রবৈধ্য বলেন-স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বে থাকা কয়েকজন সদস্যসহ স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক মিলে সালিশের মাধ্যমে হাতেপায়ে ধরিয়ে বিষয়টি সামধান করে দিয়েছেন।

    এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক অনির্বাণ হালদার বলেন-আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে,তারপরও সকলের কথায় আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়েছে। বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ধানু সালিশের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।