তাহিরপুরে মাদ্রাসা সুপারের বিরোদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

    0
    280

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫ডিসেম্বর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট রহমানিয়া দাখিল মাদ্রসায় সুপারের বিরোদ্ধে একের পর এক অভিযোগের পাহাড় জমেছে। মাদ্রাসা সুপার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বিরোদ্ধে নানান অভিযোগ লিখিত ভাবে দিলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কার্যকর কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,অবিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোবের স ার হচ্ছে। এছাড়াও মাদ্রাসা সুপার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বিরোদ্ধে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের নানান অভিযোগ রয়েছে। একাধিক সূত্রে জানাযায়,প্রতি বছর ৬-১০শ্রেনীর পর্যন্ত ৫৮০শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি ও ভর্তি ফি সর্ব নিন্ম ৩শত টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫শত টাকা অধিক টাকা নিয়েছেন। আর অল্প কিছূ শিক্ষার্থীকে রশিদ দিলেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে রশিদ ছাড়াই নিজে জমা নেন। যা পরবর্তিতে স্কুল ফান্ডে জমা দেন নি।

    দাখিল মাদ্রায় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকারী ভাবে নির্ধারীত পরীক্ষার র্ফি না নিয়ে ২৫শত টাকার অধিক টাকা নিয়েছেন। পরিবর্তিতে সেই টাকা আবার চাপের পড়ে ঐ সব শিক্ষার্থীদের ফেরৎ দেন। এক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের কেউ ১হাজার টাকা দিতে বাধ্য করেন। কোন কোন শিক্ষার্থী ৫ম শ্রেনী পাশ না করলেও ৮ম শ্রেনীতে ভর্তি করেন অর্থের বিনিময়ে। ০৯,০৪,১৪ইং সালে পোষ্টাল অর্ডারের ২৪শত টাকা নিজে ভোগ করেন। শিক্ষকদের টিউশন ফি ২লাখ ১৮হাজার ৮৪টাকা উত্তোলন করলেও বিতরন করেন নি। মাদ্রাসা সহ সুপার তাজুল ইসলাম এর মধ্যে ২টি টিউশন ফি উত্তোলন করে বিতরন করেন। কিন্তু বাকী টাকা মাদ্রাসা সুপার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ উত্তোলন করলেও তা বিতরন করেন নি আজও। এছাড়াও মাদ্রাসার এফডিআরের টাকা রেজুলেশন ছাড়া নিজে নিজে উত্থোলন করেন।

    ২০০৪সালে ১১৫১৫টাকা,০৪,০২,২০০৮ইং-১১৬১৩টাকা,১৯,০৩,২০১৪ইং-তারিখে- ৪৯,৪৩৯টাকা,১৩,০৪,১৬ইং তারিখে-১৭,৭৩২টাকা মাদ্রাসার নামে বাদাঘাট কৃষি ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার থেকে টাকা উত্তোলন করে নিজে ভোগ করেন। এই বিষয়ে কর্মরত শিক্ষকগন ০৩,১০,১৭ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বার বার মেনেজিং কমিটির তাগিদ দিলেও তিনি এড়িয়ে যান। এছাড়াও তিনি প্রতি মাসে বিভিন্ন বিল সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়াই ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। সর্ব শেষ ২০১৬ইং সালের জুলাই থেকে ডিসেম্ভর পর্যন্ত মেধাবৃত্তির ৮৩হাজার টাকা পায় নি ৩৫শিক্ষার্থীরা। এই বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ১৫,০৮,১৭ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও সুপার মাদ্রাসায় নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন না। কিন্তু বেতন ভাতা নিচ্ছেন। শিক্ষক প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম মাষ্টার,নিজাম উদ্দিন বলেন,সুপার সাহেবের কারনে মাদ্রাসা যেমন নষ্ট হচ্ছে। তেমনি আমরা শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরাও আছে কষ্টের মাঝে। উনি নিজে সব কাজ করেন,নিজের সুবিধার কথাই ভাবেন আমাদের শিক্ষকদের ও মাদ্রাসার আর শিক্ষার্থীদের কথা ভাবেন না। আমরা সবাই উনার অনিয়ম আর দূনীর্তির বিচার চাই।

    বাদাঘাট রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ মেধা বৃত্তির টাকার বিষয়ে বলেন,৩৫শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তির তালিকা ও বিল ভাইচার শিক্ষা অফিসে জমা না হওয়ায় জমা দিতে ৩০জুন আবহাওয়া খুব খারাপ থাকায় তাহিরপুর উপজেলা সদরে যেতে পারে নি। এর পর কয়েক দফা চেষ্টা করেছি ৩৫শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তির টাকা ফেরৎ আনতে। আর আমাকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাখাব উদ্দিন বলেন,অনেক অভিভাবক সহ শিক্ষকগন আমাকে সুপার সাহেবের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অবহিত করেছেন। তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাদাঘাট রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিষয়ে বলেন,সুপারের বিরোদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা প্রমান পাওয়া গেছে। আমি কমিটিকে বলেছি ব্যবস্থা নেবার জন্য।