তাহিরপুরে বন্যা কবলিতদের পাশে দাড়িয়েছেন চেয়ারম্যান

    0
    245

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত সাধারণ মানুষজন পানি বন্দী হয়ে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এ সমস্ত পানি বন্দী মানুষের পাশে গিয়ে দিন রাত সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর সহ বিভিন্ন সহায়তায় পাশে দাড়িয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। তিনি গত ৪দিন ধরেই তাহিরপুর উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে পানি বন্দি মানুষের খোঁজখবর রাখছেন। পাশাপাশি উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ত্রান সহায়তা প্রদান করেন।

    স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদীগুলোর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র,হাট-বাজার,নিন্মা লের অর্ধশতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়,গ্রামের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়াও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে কর্মহীন হয়ে নিম্ন আয়ের মানুষরা বিপাকে পড়েছেন। এছাড়াও ঐসব এলাকার রাস্তাঘাট,জনপদ,হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ ও স্কুল সংলগ্ন এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। ফলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে।

    করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,টানা কয়দিনের বৃষ্টিতে তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামের মানুষ খুবই কষ্টে দিনপার করছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পরিমান ত্রান দেয়া হচ্ছে তা খুবই কম। এছাড়াও তিনি জানান,পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক,তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক,বাদাঘাট-সোহালা,আনোয়াপু–র-ফতেহপুর সড়ক,বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক ও বাজারের সড়ক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলা সীমান্তের বিভিন্ন সড়ক পানির তোরে ভেঙ্গে ও পানিতে ডুবে চলাচল বন্ধ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের। অসহায় পানি বন্দী মানুষগুলোকে বাঁচাতে ত্রানের পরিমান আরো বাড়াতে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট দাবি জানিয়েছেন।