তাহিরপুরে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকার অনশন

    0
    343

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬অক্টোবর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়নের রায় পাড়া গ্রামের শুভ্র তালুকদারের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকা স্মৃতি সরকার অনশন শুরু করেছে। অনশনকারী স্মৃতি সরকার (২২) জেলার দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের রবিন্দ্র সরকারের দ্বিতীয় মেয়ে ও সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্রী। প্রেমিক শুভ্র তালুকদার (২৪) তাহিরপুর উপজেলার রায় পাড়া গ্রামের সুনিল তালুকদারের বড় ছেলে।

    পুলিশ,স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত বুধবার সন্ধ্যায় স্মৃতি সরকার (২২) কাউকে না জানিয়ে হঠ্যাৎ করে প্রেমিক শুভ্র তালুকদারের রায় পাড়ায় অবস্থিত বাড়িতে চলে আসে। এসে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু প্রেমিক শুভ্র এতে জরাজি না হলে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করে। এই খবর জানাজানি হলে পুলিশ,স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিগন এসে মধ্য রাত পর্যন্ত ছেলে ও মেয়ে পক্ষের সাথে আলোচনা করে।

    এক পর্যায়ে সবাই মেয়েকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে স্মৃতি সরকার জানায়,গত ৩-৪বছর পূর্বে প্রেমিক শুভ্র তার মামার বাড়ি দিরাই উপজেলার কাইলানী গ্রামে বেড়াতে যায়। পারিবারিক ভাবে তাদের মাঝে আতœীয়তার সম্পর্ক ছিল। এই সুবাধে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। এক প্রর্যায়ে তাদের মাঝে গভীর ভালবাসার সর্ম্পক গড়ে উঠে। গত ২মাস পূর্বে তারা দু-জন মিলে সুনামগঞ্জ জেলার সার্বজনিন কালী মন্দিরের পুরহিতের মাধ্যমে মালা বদল করে শাখাঁ ও সিঁদু পড়িয়ে দেয় প্রেমিক শুভ্র। এর পর তারা জেলার মিজান হোটেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে হোটেলে রাত্রী যাপন করে। এর পর তাদের একাধিক বার দৈহিক সর্ম্পক হয়েছে। স্মৃতি সরকার এই প্রতিবেদককে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আরো জানায়,আমাদের বিয়ের ছবি আছে। হোটেলে ছিলাম তার ভিডিও ফুটেজ আছে। প্রেমিক শুভ্রই তাকে বাড়িতে আসার কথা বলেছে। এলাকার সবাই বলেছে আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে বিয়ের আয়োজন করা হবে। আমার বাবা ও মা অসুস্থ রয়েছে। আমাকে বিয়ে করে সামাজিক ভাবে স্বীকৃতি না দিলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

    তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন জানান,এই মেয়ের কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রয়েছে যে তাদের বিয়ে হয়েছে এবং তারা একাধিকবার রাতে সুনামগঞ্জের মিজান হোটেলে রাত্রীযাপন করা সহ বিভিন্ন সাক্ষী প্রমান আছে। আমরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন ছেলের বাবার সাথে কথা বলেছি ছেলের বাবা বিয়ে দিতে রাজি কিন্তু মেয়ের পরিবারের সাথে কয়েক দফা কথা হলেও মেয়ের বাবা ও মা অসুস্থ থাকায় ভাল ভাবে কথা শেষ হয় নি। তাই মেয়েকে তাহিরপুর বাজার কমিটির সাবেক চেয়ারম্যার রতন গাঙ্গুলীর জিম্মায় তার বাড়িতে রাখা হয়েছে।

    আমরা এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি আশা করি সুষ্ট ভাবেই সমাধান হবে। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান,মেয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেনি। মেয়ে ছেলের বাড়ি আসার পর ছেলে ও মেয়ে পক্ষের লোকজনের সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন কথা বলে বিষযটি সমাধান করছেন। সমাধান হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব না।