সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী সোহাগ মিয়া (২১)কে গ্রেফতার করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট (বাদারঘড়) গ্রামের পল্লী চিকিৎসক নুরু মিয়ার ছেলে ও কথিত এক সাংবাদিকের ভাতিজা। 
সোমবার (২৬ জুলাই ২০২১) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ তরফদার। 

তাহিরপুর থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়,গত রোববার (২৫ জুলাই ২০২১) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল লতিফ তরফদারের নির্দেশে তাহিরপুর থানার এ এস আই আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট নতুন বাজার এলাকা থেকে কথিত সাংবাদিকের ভাতিজা ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি সোহাগ মিয়া (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

মামলা সুত্রে আরও জানা যায়,উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নে গত ২৫/০৫/২০২০ সোমবার রাত ৯ টার দিকে পল্লী চিকিৎসক ও কথিত সাংবাদিক ভাতিজা,জয়,রোকন,শান্ত,আলামিন ও সোহাগ মিয়া গং’রা শাহ আলমের বসত ঘরের দরজার সামনে আতশবাজি ফোটায়। এতে শাহ আলম বিরক্ত হয়ে আতশবাজি ফোটাতে নিষেধ করেন। তার কিছুক্ষণ পরেই কবিরাজ আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫) তার সহযোগী নুরু মিয়া (৪২),কদ্দুস মিয়া (৩৭),শহিদ মিয়া (৩৯),নুরু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৫),সোহাগ মিয়া (২১),শহিদ মিয়ার ছেলে আলামিন (২০) ও শান্ত মিয়া (১৮) একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শাহ আলমের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে নারীসহ ৫ জনকে আহত করে ও বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সাকু মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া ২০২০ সালে ২৬শে মে বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ায় গতকাল সোহাগকে গ্রেপ্তার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, সোহাগ একটি জিয়ার মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি। সে দীর্ঘ দিন যাবত পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বালিয়াঘাট নতুন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে আমরা সোহাগ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।