তাহিরপুরে নিরপরাধ শ্রমিককে মদ দিয়ে চালানের অভিযোগ

    0
    245

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩ফেব্রুয়ারী,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে এক নিরপরাধ অসহায় বারকী শ্রমিকে মোটর সাইকেলসহ আটকের পর উৎকোচের বিনিময়ে মোটর সাইকেলটি ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আর কোন উপায় না পেয়ে নিরপরাধ শ্রমিককে ৪ বোতল মদ দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আটককৃত বারকি শ্রমিকের নাম জুলহাস মিয়া(৩২)। সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের নাজ সিকদারের ছেলে।

    ঘটনাটি ঘটেছে  রোববার রাতে। স্থানীয়রা জানায়,গত ২০শে জানুয়ারী শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় নিজ বসতবাড়ির সামনে অবস্থিত যাদুকাট নদীর তীরে বসে বারকী শ্রমিক জুলহাস মিয়া তার বন্ধু একই গ্রামের সেমানুর(২৫) ও এরশাদ সরদারকে নিয়ে তাদের কাজ নিয়ে আলাপ করছিল। এসময় থানার দালাল কামড়াবন্দ গ্রামের বিশিষ্ট সুধী ব্যবসায়ী বদ মিয়ার ছেলে চাঁদাবাজ আজাদ মিয়ার নির্দেশে তার ভাই সাজ্জাদ মিয়া বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শরিফ হোমেস নিয়ে বারকি শ্রমিক জুলহাস মিয়া ও তার বন্ধু সেমানুরের মোটরসাইকেল আটক করে বাদাঘাট ক্যাম্পে নিয়ে আসে। এবং তাদের কাছে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে।

    তাদের কথামতো চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চাঁদাবাজ আজাদ মিয়া তার বাড়ি থেকে ৪বোতল মদ এনে নিরপরাধ অসহায় বারকি শ্রমিক জুলহাস মিয়াকে মামলা দিয়ে ফাাঁসিয়ে দেয়। আর দুইদিন আটক রাখার পর গতকাল রোববার রাতে উৎকোচ নিয়ে মোটর সাইকেলটি ছেড়ে দেয়। এব্যাপারে মোটরসাইকেল মালিক সেমানুর বলেন,হাতে-পায়ে ধরে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে মোটর সাইকেলটি ছাড়িয়ে এনেছি।

    এঘটনার পর থেকে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শরিফ তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাহিরপুর থানার ওসি শহিদুল্লাহ বলেন,এবিয়ষটি তদন্ত করে দেখব। পুলিশ ও তার দালালদের এই কর্মকান্ডে এলাকায় তীব্র সমলোচনা ঝড় উঠেছে।