তাহিরপুরে আবারো কালি মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর,গ্রেফতার-১

    0
    222

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪জুলাই,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার আগুনে পুরানো ও পরপর ২টি কালি মন্দিরের মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক ২টি মামলার আসামীরা জামিনে বেড়িয়ে আসার এক মাস যেতে না যেতেই আবারো ১টি কালি মন্দিরের মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

    এঘটনার প্রেক্ষিতে গত রোববার রাত ১২টায় অভিযান চালিয়ে বাবুল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তি উপজেলার চিকসা গ্রামের মৃত নুরুল মিয়ার ছেলে। কিন্তু আসল সন্ত্রাসীরা রয়েছে ধরাচোয়ার বাহিরে।

    এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানাযায়,গত শনিবার ভোরে সন্ত্রাসীরা উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের চিকসা গ্রামের শ্রীশ্রী কালি মন্দিরের তালা ভেঙ্গে ৩টি মূর্তি ভাংচুর করেছে সন্ত্রাসীরা।

    এর আগে গত ৩০.০১.১৭ইং সোমবার রাত ১১টায় বাদাঘাট বাজারে প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার আগুনে পুরায় কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বদ মিয়ার ছেলে হাবিব সারোয়ার আজাদ,তার সহযোগী একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আলম শেখ (২০) ও বাদাঘাট গ্রামের শহিদুল্লার ছেলে রাজু মিয়া(২১)। এঘটনার প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ঝুমুর তালুকদার বাদী হয়ে উপরের উল্লেখিত ৩জন সন্ত্রাসীকে আসামী করে গত ০১.০২.১৭ইং বুধবার রাত ৮টায় মামলা নং-৫ দায়ের করেন।

    মামলা দায়েরের ঘটনায় আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন ০২.০২.১৭ইং শুক্রবার রাত ২টায় বাদাঘাট বাজারের পার্শ্ববর্তী পৈলনপুর গ্রামের কালি মন্দিরের ২টি মূর্তি ভাংচুর করে। এঘটনায় ঝুমুর তালুকদার বাদী হয়ে থানায় আরো ১টি মামলা করেন। পৃথক ২টি মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাজু মিয়াকে গ্রেফতার করলে সে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

    এঘটনায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সন্ত্রাসী হাবিব সারোয়ার আজাদ ও আলম শেখ। তারা গত ১১.০৩.১৭ইং শনিবার রাত ১২টায় উপজেলার দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের টুকেরগাঁও গ্রামের সার্বজনিন কালি মন্দিরের ১০টি মূর্তি ভাংচুর করে।

    এঘটনার প্রেক্ষিতে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল বর্মণ বাদী হয়ে গত ১৩.০৩.১৭ইং সোমবার বিকেলে মামলা নং-৮ দায়ের করেন। প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার পুরানো ও মূর্তি ভাংচুরকারী আসামীদের বিরুদ্ধে পরপর ৩টি মামলা দায়ের করার পরও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার না করায় ফুসে উঠে উপজেলার সর্বস্থরের জনসাধারণ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এলাকার নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ জনগন শুরু করে মানববন্ধন। এঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠলে সন্ত্রাসী হাবিব সারোয়ার আজাদ ও আলম শেখ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    এরপর হাবিব সারোয়ার আজাদ ও তার সহযোগী আলম শেখ দীর্ঘদিন পলাতক থেকে ও রাজু মিয়া জেল খেটে আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আসে। আর তারা ৩জন ফিরে আসতে না আসতেই আবারও কালি মন্দিরের মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

    চিকসা গ্রামের কালি মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় গতকাল ০৩.০৭.১৭ইং সোমবার সকাল ১০টায় চিকসা শ্রীশ্রী কালি মন্দির কমিটির সভাপতি রনদা পুরকায়স্থ বাদী হয়ে মামলা নং-৩ দায়ের করেছেন। তাহিরপুর থানার ওসি তদন্ত আসাদুজ্জামান হাওলাদার মামলা দায়েরর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।